Ameen Qudir
Published:2018-10-21 01:57:31 BdST
দরিদ্র মেধাবীর ডাক্তার হওয়ার জন্য আসুন হাত বাড়াই
ডেস্ক রিপোর্ট
______________________
দরিদ্র মেধাবী জনে ডাক্তার হওয়ার পথে আসুন হাত বাড়াই। বেসরকারী মেডিকেলে না হলেও প্রতিবছর অনেক দরিদ্র মেধাবী সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে মেধার জোরে সুযোগ পায়। কিন্তু সেই সোনালী সুযোগ অনেকের জন্য হয়ে ওঠে জীবনের কঠিন অগ্নিপরীক্ষা। মেডিকেলে পড়ার খরচ মেটাতে হিমশিম খায় এসব গরীব মেধাবী।
এখন অনেকেই গরীব মেধাবীর জন্য পাশে দাড়াচ্ছে। নানা ফাউন্ডেশন সাহায্য করছে। বিশিষ্ট ডাক্তাররাও ব্যাক্তিপর্যায়ে অনেকে হাত বাড়াচ্ছেন। অন্য পেশার লোকও আসছেন।
বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে চান্স পেলেও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছিলেন না মো. সাগর হোসেন ।
তীব্র অভাব-অনটনের সংসার তার। মেডিকেল কলেজের মেধাতালিকায় স্থান পেলেও দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়েনি তার। রিকশাচালক বাবা মো. সেলিম হোসেন। মেডিকেল কলেজে ভর্তির টাকা জোগাড় নিয়ে মহাসমুদ্রে পড়ে তারা ।
এ অবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বরিশালের রেঞ্জ ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম।
ভর্তির জন্য আর্থিক সহায়তা দেন তিনি। লেখাপড়ার খরচের জন্যও তাকে সহায়তা করা হবে।
ডাক্তার প্রতিদিনের জনপ্রিয় কলামিস্ট ও লোকসেবী
চিকিৎসক ডা.নাহিদ ফারজানা এর মধ্যেই জানিয়েছেন তাদের পারিবারিক মহৎ উদ্যোগের কথা। তিনি জানান,
অতি দরিদ্র যারা এবারে সরকারি মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছেনা, আমরা কি চেষ্টা করতে পারিনা,তাদের একজন ও যেন ঝরে না যায়? কিভাবে তাদের প্রত্যেকের ভর্তির বিষয়টি অামরা নিশ্চিৎ করতে পারি?আমাদের পারিবারিক সংগঠন একজনের ভর্তির দায়িত্ব নিতে চায় যে সত্যি খুব অভাবী।"
এরকম মহতী সকল পরিবারকে আমরা সম্মান জানাই।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ছাপড়হাটী গ্রামের রিকশাচালক আলম মিয়ার ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া। মেধাবী এ ছাত্র এবার মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু দরিদ্র ঘরের সন্তান জিয়াউরের মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে টাকার অভাবে।
এই অবস্থায় মেধাবী ছেলের মেডিকেল কলেজে ভর্তির টাকা জোগাড় করতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা চেয়েছেন রিকশাচালক বাবা আলম মিয়া।
আলম মিয়া জানান, জিয়া ছোট কাল থেকেই মেধাবী। তিনি পূর্ব ছাপড়হাটী গ্রামের একটি ব্র্যাক প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান । একই উপজেলার ছাপড়হাটী এসসি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ- ৪.৭১ পেয়ে উত্তীর্ণ হন । পরে একই বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন । এরপর ২০১৭ সালে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেন।
এবার মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় ১৭৯০ নম্বর লাভ করেন মেধাবী জিয়াউর রহমান। তার জন্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত হয় শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ।
জিয়া দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়। তার ছোট ভাই স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।
জিয়াউ র বলেন, আমি প্রথমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পাই। এরপর মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিলে সেখানেও চান্স হয় আমার। তবে ভেবেচিন্তে মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এমতাবস্থায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাতিল ও মেডিকেলে ভর্তি হতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার প্রয়োজন। আমার রিকশাচালক দরিদ্র বাবার পক্ষে এতো টাকা যোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সমাজের বিত্তবান ও ক্ষমতাশীল ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে আমি মেডিকেলে ভর্তি হতে পারতাম।
সহযোগিতার হাত বাড়াতে জিয়াউর রহমান জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে ০১৭৫৭-৩৪৩৯ ৯৪ নম্বরে।
আপনার মতামত দিন: