Ameen Qudir

Published:
2018-06-30 16:18:48 BdST

ডাক্তারদের উপর হামলা রোধে কলকাতা পুলিশের উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত


 

 

ডা. সুদীপা রায় , কলকাতা
_____________________


ডাক্তারদের উপর হামলা রোধে কলকাতা পুলিশের উদ্যোগ চিকিৎসক সমাজ সহ সাধারণ মানুষের মাঝেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ইতোমধ্যেই সচেতনতা তৈরীতে ভূমিকা রাখছে। এখানে কলকাতার চিকিৎসক নেতা ডা. অধ্যাপক
রেজাউল করীমসহ সাধারন কলকাতার নাগরিকদের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হল।

ডা. অধ্যাপক
রেজাউল করীম এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন,
·
আজকের দিনটা একটু অন্যরকমই বোধহয়। কলকাতা পুলিশ একটা হোর্ডিং বানিয়ে চিকিৎসক নিগ্রহের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছে। সৃন্জয় বোসের কাগজ প্রতিদিন চিকিৎসা-জ্যোতি পুরষ্কার চালু করেছে। তাহলে, বোধহয় চাকা ঘুরছে। দ্বিতীয় অনুষ্ঠানটিতে যদিও দীর্ঘ্যসময় জুড়ে শাসকদলের নেতা ও তস্য চমসের ফ্যাশন শো হয়েছে, তবু বলবো এ অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বহুদিন ধরে বার বার আমরা দাবী করছিলাম প্রশাসনের কঠোর বার্তা-তা আংশিকভাবে পুরণ হয়েছে। আমাদের গভীর প্রত্যাশা ছিল, কোন একদিন সমাজ দুবাহু বাড়ায়ে চিকিৎসকদের আপন করে নেবে। চিকিৎসকরা মানুষ, ভগবান নয়, শয়তান ও নয়- তারা অপরের মুখে হাসি ফোটানোর গুরুভার কাঁধে নিয়েছে। তাদের হাসিকান্নার খবর কি কেউ রাখবে না! প্রতিদিন এই প্রয়োজনীয় কাজটি করে আমাদের কৃতজ্ঞতা-পাশে আবদ্ধ করেছেন।
প্রতিদিন অগ্রনী, পথিকৃত- সুস্থ মানবিক সম্পর্ক রচনায় তাদের নিরলস প্রয়াস ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

এবার কি তাহলে আমার সক্রিয়তা থেকে বিদায় নেওয়া চলে! কত কাজ যে পড়ে আছে!!

_______________
প্রীতম চক্রবর্ত্তী এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন,
একটা সরকারী হাসপাতলে একজন ডাক্তার যেভাবে ঘণ্টার পর ঘন্টা রুগী দেখতে থাকে ,তাতে একটুতেই রেগে যাওয়া কোনো বড় ব্যাপার না ।
সাধারণ মানুষকেও বোঝা উচিত্ যেই মানুষটা সামনের টেবিলে বসে আছে হতে পারে সে শেষ দুদিন ধরে রুগীর চাপে ভালো ভাবে ঘুমোতে পারেনি ।।
অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তারবাবুরাও মাত্রাতিরিক্ত রেগে যান ,বাজে ব্যবহার করে থাকে ,তাদেরও বোঝা উচিত যেই রুগী অসহায় দেখেই ওনার কাছে এসেছে ,আর সবাই যে সবজান্তা হবে তার তো কোনো মানে নেই ।
একটা কথা না হয় মানুষটা দুবার বলার পর বুঝলো একটু সামলে নিলে ভালো হয় ।।
তবু বলবো কথায় কথায় ডাক্তারকে দোষ দেওয়া বন্ধ হোক ,কোনো ডাক্তার চায় না রুগী মারা যাক ।
_______________________

কৌশিক লাহিড়ি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন,
সন্ত্রাস

কোনো ভাবেই কি এই ধারাবাহিক চিকিৎসক নিগ্রহ মেনে নেওয়া যায় ?

একজনের ওপর ক্রোধের বহিঃ প্রকাশ হয় আর এক নিরীহ চিকিৎসকের ওপর,যিনি কেন মার খাচ্ছেন বোঝার আগেই নির্যাতিত হওয়ার যান
মানুষের হাতে,
সরকারি চাকুরে হলে, ওপরওয়ালার হাতেও!
সব দোষ ওই নন্দ চিকিৎসকের!
আর কারো দোষ নেই!

প্রয়োজনের তুলনায় এক পঞ্চমাংশ ডাক্তার থাকবেন অজস্র মানুষের পরিষেবায়, সেটা কি ডাক্তারের দোষে ?

মানুষ ডাক্তার না পেয়ে ওঝা, গুণীন, হাতুড়ে, হোমিও করে শেষ অবস্থায়
যাবে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে, তার পর মারা যাবে, এটা কি ডাক্তারবাবুটির দোষ ?

সকাল ৯ টা থেকে বিকেল তিনটে অবধি আউটডোরে রোগী দেখে যদি ডাক্তারবাবুটি এমার্জেন্সি তে রোগী দেখতে যান বা রাউন্ড দিতে আর তার জন্য যদি রোগী বিক্ষোভ হয় , তার দায়, সেই চিকিৎসকটির ওপর বর্তায় কি!

UHC পক্ষে আমাদের শপথ,শ্রীনাথ রেড্ডী কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনাটা আমাদের দাবী।

গোড়া কেটে আগায় জল দিলে এইই চলতে থাকবে।

আজ, আমাদের প্রথম এবং প্রধান পরিচয় আমরা ডাক্তার । অধীত জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে, যোগ্যতা আর সুনামের সঙ্গে আমরা পেশায় নিয়োজিত আছি।
মিষ্টির দোকানের বিজ্ঞাপনের মতো শোনালেও বলবো, পেশাগত বিদ্যা আর প্রশিক্ষণ ছাড়া, সততা, স্বচ্ছতাই আমাদের মূলধন!
(আশা করি)

আমাদের পেশাদারী পারদর্শিতা সম্ভূত যোগ্যতায়/অযোগ্যতায় নির্ভরশীল আমাদের যাবতীয় সুনাম/দুর্নাম, কৃতিত্ব/অকৃতিত্ব !

তবুও বলবো দেরিতে হলেও চমৎকার উদ্যোগ !
রাজ্যের সর্বময় নেত্রী আমাদের কথা

দিয়েছিলেন এপ্রিলের গোড়ায়, আমরা অপেক্ষা ছিলাম!
প্রশাসনের বিবেকদংশন হয় কি না জানা নেই,
তবে দেরি হলেও এই উদ্যোগে সমাজের চেতনা
যদি ফেরে ভালো !

ও আলোর পথযাত্রী, এ যে রাত্রি, এখানে থেম না
এ বালুরচরে আশার তরণী তোমার যেন বেঁধো না,
আমি ক্লান্ত যে, তবু হাল ধরো, আমি রিক্ত যে, সেই সান্ত্বনা
তব ছিন্ন পালে জয়পতাকা তুলে, তূর্য তোরণ দাও হানা
ও আলোর পথযাত্রী, এ যে রাত্রি, এখানে থেম না

তাও বলি, ধন্যবাদ KOLKATA POLICE

______________________
তথাগত ঘোষ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন,
অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ, তবে শুধু কলকাতা পুলিশ নয়, সারা পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায়, মহকুমা ও ব্লকেও একই বার্তা পৌছে দিতে হবে। আর শুধু হাসপাতালে নয়, শহরের গুরুত্ব পূর্ন জায়গাগুলিতেও দেওয়া দরকার।আবার সাধুবাদ জানাই আপনাদের এই উদ্যোগকে।
_____________________
কাঞ্চন মুখোপাধ্যায় এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন,
ডাক্তার ধোলাই বা হাসপাতাল ভাঙচুর করা এখন সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত। সস্তায় বীরত্ব প্রদর্শনের উপায়। পুলিশ, প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের ঐকান্তিক প্রয়াস বিনা এ রোগ সারার নয়। দিকে দিকে ছড়িয়ে দিন এই পোষ্টার। দৃষ্টান্ত মূলক কিছু শাস্তি দিন। ডাক্তারসমাজ তো বটেই আখেরে সবার ভালো হবে।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়