Ameen Qudir

Published:
2018-03-27 00:55:51 BdST

ওসিডি নীরব মহামারী : প্রতিরোধের এখনই সময়



ডেস্ক রিপোর্ট
ওসিডি নীরব মহামারী : অাপনার আমার সঙ্গেই আছেন আক্রান্তরা। তারা অবহেলা ও অসচেতনতার শিকার। এজন্য দরকার সচেতনতা। আমাদের এই রোগ সম্পর্কে জানতে হবে। কারা রোগী, তাদের আচার আচরণ সম্পর্কে সম্যক জানতে হবে। তবেই এই নীরব মহামারী প্রতিরোধ সম্ভব। নইলে আমাদের অবহেলায় ওসিডি ভয়ঙ্কর আকার ধারণের আশঙ্কা রয়েছে।

১৯ মার্চ ২০১৮ তারিখে ঢাকার মালিবাগে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বিশিষ্ট ডাক্তার অধ্যাপক চিকিৎসক শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এক সেমিনারে এই অভিমত তুলে ধরা হয়।
" সেমিনার অন ওসিডি : দি হিডেন এপিডেমিক " শিরনামে এই অনুষ্ঠান হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ, প্রিন্সিপাল ও সিইও , ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

দর্শক অংশগ্রহন কারী

বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. ফারুকুল ইসলাম, মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. তারেক এম ভুইয়া এবং ডাইরেক্টর ডা. এমডি অাব্দুল মালেক মৃধা। অনুষ্ঠান আয়োজন করে কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগ। মূল উদ্যোগ নেন মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. এএসএম মোরশেদ রোমেল ।
সেমিনারের মটিভেটর ও প্রধান বক্তা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়: বিএসএমএমইউর ওসিডি ক্লিনিকের কনসালটেন্ট ও মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগিন । তার সঙ্গে বিএসএমইউর ওসিডি ক্লিনিকের টিম সদস্য ড. রাইসুল ইসলাম পরাগ, ডা. মুনমুন, ডা. শাম্মী, ডা. রাইসা, ডা. সুমাইয়া, ডা. পলি , ডা. টুম্পা, ডা. আনিকা, ডা. ইফফাত প্রমুখ।

সেমিনারে শিক্ষক চিকিৎসক শিক্ষার্থীদের বিপুল অংশগ্রহন অনুষ্ঠানকে প্রানবন্ত করে তোলে।
প্রধান অতিথি দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসক পেশাজীবী ব্যাক্তিত্ব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ এ ধরণের আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এই লড়াইকে চালিয়ে নিতে হবে। সবাইকে সচেতন করতে হবে। মেডিকেল কলেজে ও অন্য প্রতিষ্ঠানে সেমিনার ও শিক্ষা সিম্পোজিয়াম আয়োজনের মাধ্যমে এই কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্ববহ।

বক্তারা সকলেই নীরব মহামারী প্রতিরোধে ব্যাপক সচেতনতার ওপর জোর দেন। তারা বলেন, অসচেতনকে সচেতন করতে হবে। নানারকম তথ্য সকলের দোরগোড়ায় যথাসম্ভব নিয়ে যেতে হবে।

মটিভেটর ও প্রধান বক্তা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়: বিএসএমএমইউর ওসিডি ক্লিনিকের কনসালটেন্ট ও মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগিন 

 

ডা. সুলতানা আলগিন বলেন, ওসিডি সচেতনতা সময়ের দাবি। এটা আমাদের অবহেলায় ব্যাপক নীরব মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়ছে। এই রোগ প্রতিরোধে পরিবারের সকল সদস্যকে এগিয়ে আসতে হবে। আক্রান্ত সদস্যর পাশে দাঁড়াতে হবে।
তিনি তার অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, এই রোগ বাংলাদেশে ব্যাপক অবহেলার শিকার। রোগীরা বিশেষ তদারকি ও যত্নের বদলে স্বজনদের কর্তৃক নানা অবহেলার শিকার হন। ওসিডি রোগীকে রোগী হিসেবে যত্ন নেয়া হয় না। বরং ওসিডির নানা আচরণ নিয়ে কৌতুক মজা করা হয়। মাত্রাতিরিক্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ওসিডির লক্ষণ। সেটাকে কখনও আক্রান্ত ব্যাক্তির বিশেষ গুণ বা দোষ হিসেবে চিহ্ণিত করে হাসি ঠাট্টা করা হয়। স্বজনরা রোগের প্রতিকারের বদলে এসব আচার আচরণের মাধ্যমে রোগকে প্রকট করেন। যেমন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বাড়াবাড়িকে অনেকে বাহবা প্রশংসার জোয়ারে ভাসিয়ে দেন। তাতে রোগী মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হন।
যত দ্রুত রোগের প্রতিকারের চেষ্টা ; ততই সুস্থতার অধিক সম্ভাবনা; সেকথা তো কম বেশী সকলের জানা।
উল্লেখ্য, বিএসএমএমইউর ওসিডি ক্লিনিক বাংলাদেশের প্রথম ওসিডি ক্লিনিক। ভারত উপমহাদেশে ব্যাঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেল্থ এন্ড নিউরোসাইন্স: নিমহানস ( বিশ্ববিদ্যালয় মর্যাদা সম্পন্ন ) এর পর বিএসএমএমইউর এই ক্লিনিক প্রচুর রোগীকে নিয়মিত চিকিৎসা দিয়ে চলেছে।
এই ওসিডি ক্লিনিকের উদ্যোগে ইতোমধ্যেই রোগ প্রতিরোধী সামাজিক আন্দোলন, সেমিনার সিম্পোজিয়াম আয়োজন করে চলেছেন ক্লিনিক চিকিৎসকবৃন্দ।

অনুষ্ঠান সহযোগী ছিল ইউনিমেড ইউনিহেল্থ ফার্মাসিউটিক্যালস।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়