Ameen Qudir
Published:2018-03-24 20:46:26 BdST
রোগীর আত্মীয়স্বজনের অমতকে কনভিন্সড করে ঝুঁকি নিয়ে জীবনরক্ষা করলেন ডাক্তার
ডাক্তার প্রতিদিন
_________________________
১০ চাকার ট্রাকের ড্রাইভার। একসিডেন্টে স্টিয়ারিং পেটে লাগে। মারাত্মক জীবনসংশয়ের পরিস্থিতি। পেট ফুলে যায়। । এক্সরে, আল্ট্রাসাউন্ড করানো হয়। রক্তক্ষরণ বা খাদ্যনালী ফুটো হবার অঅশঙ্কা তীব্র। । অপারেশন না করে উপায় নেই।
কিন্তু রোগীর লোকজন (ভাই ও স্ত্রী) অপারেশন করাবেন না। তাদের সাফ কথা। রিস্ক বন্ড কনসেন্ট দিবে না। তাই তাদের কাছে লিখে নেয়া হয় "আমরা অপারেশন করাতে রাজী নই।" তারা সেটা লিখে সই দিয়েছে।
এই অবস্থায় জীবন রক্ষার কারিগর ডাক্তারের কি করনীয়। কি সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। তিনি বা তারা কি মানুষটির জীবনরক্ষার পবিত্র কর্তব্য থেকে সরে যাবেন। নাকি প্রবল ঝুঁকি নিয়ে জীবনরক্ষা করবেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজের সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ডা. হৃদয় রঞ্জন রায় এমন গুরুতর সঙ্কটে পড়েছিলেন। জীবন রক্ষা করবেন, নাকি ঝুঁকিময় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হবে রোগীকে : এই সুকঠিন অগ্নিপরীক্ষার মধ্যে পড়েছিলেন। তার সহকর্মীরাও ছিলেন দোটানায়। শেষ পর্যন্ত তারা জীবনরক্ষার পবিত্রব্রতকেই বেছে নেন।
ডা. হৃদয় রঞ্জন রায় জানান, খুবই খারাপ লাগছিল সেই সময়। কারন সুবর্ণ সময় পেরিয়ে যাচ্ছিল। পরে সেই সুযোগ আর থাকবে না। তাদের যথাযথভাবে বোঝানো হয়েছে।
শেষে তিনি এই মহান কাজে তার টিমসহই সফল
হন। জানা যায়, রোগীর আত্মীয়দের জীবননাশী অমতকে অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে কনভিন্সড করেন চিকিৎসকবৃন্দ। কেননা, তাদের কাছে জীবনের মূল্য আগে। রোগীর কল্যাণ ও প্রাণরক্ষা আগে। তারা সেটাই করেন।
সেই ১০ চাকার চালক সুচিকিৎসা পেয়ে বাড়ি ফিরে যান। ডা. হৃদয় রঞ্জন রায় এক স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে সে কথা মনে করিয়ে দেন। বলেন,
সেই ১০ চাকার ট্রাকের ড্রাউভারের কথা মনে আছে? রোড একসিডেন্টে যার পেটে ও বুকে মারাত্মক আঘাত হয়েছিল? মুমুর্ষ ছিল? আমরা ২ বার অপারেশন করেছি তাকে।
আজ তার ছুটি। সে বাড়ী যাচ্ছে। যাবার আগে তার চিকিৎসায় নিয়োজিত টিমের সাথে একটা ফটোসেশন হল। সাথে তার বাবা ও স্ত্রী আছে।
আপনার মতামত দিন: