Ameen Qudir

Published:
2018-03-14 19:01:58 BdST

ডটার অফ বাংলাদেশ পৃথুলা : বিশ্বজুড়ে সম্মানিত : স্বদেশে দু:খজনকভাবে অসম্মানিত



ডেস্ক রিপোর্ট
___________________

ডটার অফ বাংলাদেশ পৃথুলা : বিশ্বজুড়ে সম্মানিত হচ্ছেন। ১০ যাত্রীর প্রাণরক্ষায় ভূমিকার কারণে বীর হিসেবে পেয়েছেন স্বীকৃতি। কিন্তু বাংলা দেশে একটি মহল কর্তৃক দু:খজনকভাবে অসম্মানিত হচ্ছেন। এ নিয়ে এখন সর্বত্র ব্যাপক আলোচনা , সমালোচনা। উপমহাদেশের মানুষ তাকে বীরের সম্মান দিলেও বাংলাদেশী মহল বিশেষটির কেন এত কার্পণ্য। কি দোষ পৃথুলার । তাকে নিয়ে এত সমালোচনা কি নারী হয়ে কেন এত বড় বীরের ভূমিকা নিল । সেই অপরাধের জন্য। তাই বলে এখন পৃথুলা সম্মান বাংলাদেশেও বাড়ছে। বিদ্বেষপ্রচারকারী মহল টি হয়ে পঢ়েছে একঘরে। দেশের শীর্ষ সকল মিডিয়া যুগান্তর, কালেরকন্ঠ , সমকালসহ সর্বত্র পৃথুলার জয়গান। ফেসবুকে একদল অপপ্রচার কারী নিন্দার ঝড় বইয়ে দিলেও এখন হাওয়া বদলে গেছে। দেশের বীর পাইলটকে স্বীকৃতি দিয়ে দেশবাসী সবাই এগিয়ে আসছেন ক্রমশ।

শেখ শহীদ ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখে
ছেন , ‘ডটার অব বাংলাদেশ’ আখ্যা দিয়ে বীর নারী পৃথুলা রশিদকে নেপালের গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

পৃথিলা, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রথম নারী পাইলট- যিনি নিজের জীবনের বিনিময়ে বাঁচিয়ে গেছেন ১০ নেপালি যাত্রীর প্রাণ।

দুর্ঘটনার সময় নিজের কথা না ভেবে আগে সেই যাত্রীদের রক্ষা করার চেষ্টা করেন পৃথিলা। ১০ জন নেপালি যাত্রীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে নিরাপদে সরিয়ে দিতে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করতে করতেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় প্রিথুলার।

তবে, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রিথুলা অন্যের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়নি। ঐ ১০ নেপালি যাত্রীর সবাই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। তারা সবাই এখন বেঁচে আছে।

স্যালুট জানাই বীর কন্যাকে, মৃত্যুর আগেও যিনি বাংলাদেশকে গর্বিত করে গেছেন।
_______________

এফ এম আমিরুল ইসলাম ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন ,
পৃথুলা, আমাদের বীরযোদ্ধা।
জাতীয় কন্যা যে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে ১৩জন যাত্রীর জীবন বাঁচাতে বড় ভূমিকা রেখে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
আমরা সবাই এই জাতীয় কন্যার জন্য গর্ববোধ করি।
সৃষ্টিকর্তা তাকে যেন শান্তিতে রাখেন।
যারা তাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করছে তাদের ধিক্কার জানাই।

____________________

নূরজাহান বেগম ফেসবুকে লিখেছেন,

দুর্ঘটনা কবলিত বোমবার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ উড়োজাহাজটিতে ৩৭ জন পুরুষ ও ২৭ জন নারী ছাড়াও উড়োজাহাজটিতে ছিল শিশু। দুর্ঘটনায় নিজের কথা না ভেবে আগে সেই যাত্রীদের রক্ষা করার চেষ্টা করেন প্রিথুলা। দশ জন নেপালি যাত্রীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে নিরাপদে সরিয়ে দিতে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করতে করতেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় প্রিথুলার। প্রিথুলা ছিলেন ইউএস বাংলার প্রথম নারী পাইলট।মৃত্যুর পূর্বে বীর এই নারী পাইলট বাঁচিয়ে গেছেন ১০ নেপালি যাত্রীর প্রাণ।

নেপাল ভিত্তিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক মাধ্যমে এই বীর নারীকে ‘ডটার অব বাংলাদেশ’ আখ্যা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যারা নারী পাইলটের দোষ দিয়েছেন ওদের বোধ উদয় হোক । বীর কে বীর বলতে শিখুন , বীরের নারী পুরুষ হয়না, ইতিহাস তাই সাক্ষ্য দেয়।

"প্রিথুলা রশীদ" কাঠমুন্ডুতে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের নারী সহকারী বৈমানিক। US Bangla এর প্রথম নারী বৈমানিক। আমরা খুব সহজেই নারী শব্দটা বলে ফেলি তাই না? প্রিথুলা আপনার আমার মতোই মানুষ ছিলো, আপনার মৃত্যুর সময় যেমন কষ্ট হবে ওর ও ঠিক তাই হয়েছে! কিন্তু ওর আর আপনার মধ্যে একটা পার্থক্য রয়েছে, ও শুধু বৈমানিক নয় একজন সাহসী নারীও বটে।

ভেবে দেখুন তো আপনি কয় তলা উঁচু পর্যন্ত দাড়িয়ে সহসা কাজ করতে পারবেন? ১০/২০/৩০? এই মেয়ে আকাশে ভেসে বেড়ানোর কলিজা রাখে,যেটার যোগ্যতা আপনার আমার নেই।

যে মেয়ে তেলাপোকা দেখে ভয় পায় সে মেয়ে একসময় সন্তানের জন্য আগুনে লাফ দিতেও পারে, এটা একটা নারীই পারে।
পাইলটদের সম্পর্কে কতটুকু জানেন আপনি? একটা কেবিন ক্রু এর জীবন কেমন হয় জানেন? একটা মেয়ে নিত্য তার জীবন হাতে নিয়ে যাত্রীদের সেবা করে নিজের পরিবারকে রেখে দেশান্তর হয়,একটা অনিশ্চয়তা এই হয়তো দূর্ঘটনায় শেষ হতে পারে জীবন,ভেবে দেখেছেন?

একটা পাইলট কতটা মানুষিক চাপ মাথায় রাখে যখন সে আকাশে ওড়ে প্রত্যেকটা যাত্রীর জানমালের দ্বায়িত্ব তার হাতে থাকে, কখনো ২ জন মানুষের জীবন এর দ্বায়িত্ব নিয়ে দেখেছেন?

প্রিথুলা চাইলে হয়তো নিজে বাঁচতে পারতো, পাইলটদের সে ব্যকআপটা থাকে। কিন্তু যাত্রীদের কথা ভেবে একটা পাইলট সর্বাত্মক চেষ্টা করে প্রত্যেকটা জীবন বাঁচাতে। প্রিথুলা নিজের জীবন বাজি রেখে ১০ জন যাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছেন, জ্বী হ্যাঁ, তিনি একজন নারী! একজন নারী বলেই নিজেকে বিসর্জন দিতে পেরেছেন। নেপাল তাকে "ডটার অফ বাংলাদেশ" বলে সম্মান দিচ্ছে আর আমাদের দেশের লোক জনের মন্তব্য! #নারী শব্দটা উচ্চারণ করার আগে যোগ্যতা অর্জন করে তারপর উচ্চারণ করবেন। #নারী যদি আপনার মতো কাউকে জন্ম দিতে পারে, নারী সব পারে। ভারতের নির্জা একজন সাহসী নারী এর ঘটনাটা হয়তো খুব কম সংখ্যক মানুষ জানে, দয়া করে জেনে নিবেন একজন পাইলটের জীবন কেমন, একজন কেবিন ক্রু কিভাবে কাজ করে। মৃত্যুর মুখোমুখি এরা প্রতিনিয়তই হয়।হয়ত বলতে পারেন সবখানেই রিস্ক আছে, তা আছে তবে বৈমানিক হওয়া টা মুখের কথা নয়।

বাংলাদেশে খুব কম সংখ্যক নারী পাইলট আছে, আমাদের গর্ব হওয়া উচিত,এসব মেয়েরা আকাশ ছুঁতে পারছে। এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেশটাকে। কিছু বললেই নারীবাদি মন্তব্য করার আগে ভাবুন ১০ বার, কতটা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে একটা নারী ওসব কর্মক্ষেত্রে পদার্পণ করে।

"Prithula Rashid" একজন মেয়ে বৈমানিক ।

-তিনি মেয়ে হয়ে কেনো বিমান চালাতে গেলেন, তাই আজ বিমানটির এই দশা।
-তিনি পর্দা করেন না।
-মেয়ে মানুষকে দিয়ে বিমান চালালে এই দশাই হবে।

ইউএস বাংলার সহকারী পাইলট হিসেবে যাত্রা করেছিলেন নেপালে। সেই বিমানটিতে বেচেঁ যাওয়া ১০ জন নেপালীরা তাদের মিডিয়া গুলোতে নিজেরাই বলেছে, তার জন্যই ওই ১০ জন বিমান দূর্ঘটনাতেও বেঁচে আছেন। যাত্রীদের বাচাঁতে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করে যেখানে ইতিহাসের পাতায় চিরদিনের জন্য নাম লেখানোর কথা, সেখানে তাকে নিয়েই আমাদের এক শ্রেণীর ফেসবুকার তাকে জড়িয়েই বলছে উপরের কথাগুলো।

আসুন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উক্ত সস্তা মন মানসিকতার হাস্যরস করা থেকে বিরত থাকি এবং এই ধরনের কোন কর্মকান্ড দেখলে সেখানে প্রতিবাদ শুরু করি।

বাংলাদেশ এবং বিশ্বের সমস্ত বৈমানিকদের কেবিন ক্রু দের তাদের সাহসীকতার জন্য সালাম জানাই।

সালাম জানাই সাহসী নারী প্রিথুলা রশীদ কে.....!

দ্যা ডটার অফ বাংলাদেশ
___________

কাজী ওয়সিমুল হক লিখেছেন , দুনিয়ার সব জাতি প্লেন উড়ায় ফ্লাইট ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে, বাঙালীর হিসাব ভিন্ন, তারা উড়ায় পুরুষাঙ্গ দিয়ে।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়