Ameen Qudir
Published:2018-03-12 18:52:28 BdST
দেশের সর্বোচ্চ শিশু সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৩ চিকিৎসক
ডেস্ক রিপোর্ট
______________________
দেশের সর্বোচ্চ শিশু সাহিত্য পুরস্কার :অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৩ চিকিৎসক । সম্প্রতি এই অনন্য ঘটনাটি ঘটে। এদিন একসঙ্গে ছয় বছরের পুরস্কার প্রদান করা হয় । ৩৯ জন শিশু সাহিত্যিক ও প্রচ্ছদশিল্পীকে প্রদান করা হয় এ পুরস্কার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব নাছিমা বেগম, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসউল ইসলাম। শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনজীর লিটন।
এ দিন তিন জন চিকিৎসক বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যে তাদের অমর অবদানের জন্য এই দেশসেরা সর্বোচ্চ শিশু সাহিত্য পুরস্কারটি পান। ডাক্তার সমাজ ও ডাক্তার প্রতিদিন পরিবারের তরফ থেকে সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন।
এই তিন অনন্য প্রতিভাশালী হলেন , কথাশিল্পী অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল। ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল। ডা. রোমেন রায়হান ।
এ ছাড়া অন্য যারা পেলেন,
১৪১৮ থেকে ১৪২৩ বঙ্গাব্দ- এ ছয় বছরের অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৪১৮ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন রাশেদ রউফ ও খালেদ হোসাইন (কবিতা-ছড়া-গান); মোহিত কামাল (গল্প-উপন্যাস-রূপকথা); কাজী কেয়া (বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য জীবনী প্রবন্ধ); তপন চক্রবর্তী (স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি) এবং নাসিম আহমেদ (বই অলংরণ)। ১৪১৯ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন হাসনাত আমজাদ (কবিতা-ছড়া-গান); দন্ত্যস রওশন (গল্প-উপন্যাস-রূপকথা); শেখ আনোয়ার (স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি); হানিফ খান (নাটক) এবং মনিরুজ্জামান পলাশ (বই অলকরণ)। ১৪২০ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন আখতার হুসেন (কবিতা-ছড়া-গান); দীপু মাহমুদ (গল্প-উপন্যাস-রূপকথা); সোহেল আমিন বাবু (বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য জীবনী প্রবন্ধ); ফারুক হোসেন (অনুবাদ-ভ্রমণকাহিনী); আ শ ম বাবর আলী (নাটক) এবং বিপ্লব চক্রবর্তী (বই অলকরণ)। ১৪২১ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন রোমেন রায়হান (কবিতা-ছড়া-গান); ইমতিয়ার শামীম (গল্প-উপন্যাস-রূপকথা); তপন বাগচী (বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য জীবনী প্রবন্ধ); মনসুর আজিজ (স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি) এবং মোমিন উদ্দীন খালেদ (বই অলকরণ)। ১৪২২ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন পলাশ মাহবুব (কবিতা-ছড়া-গান); ইমদাদুল হক মিলন (গল্প-উপন্যাস-রূপকথা); রীতা ভৌমিক (বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য জীবনী প্রবন্ধ); ড. আলী আসগর (স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি); মাহফুজুর রহমান ও হাসান খুরশীদ রুমী (অনুবাদ-ভ্রমণকাহিনী); আশিক মুস্তাফা (নাটক) এবং সব্যসাচী মিস্ত্রী (বই অলকরণ)। ১৪২৩ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন মারুফুল ইসলাম ও আহমাদ উল্লাহ (কবিতা-ছড়া-গান); মোশতাক আহমেদ (গল্প-উপন্যাস-রূপকথা); শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী (বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য জীবনী প্রবন্ধ); ডাঃ মিজানুর রহমান কল্লোল ও মশিউর রহমান (স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি); জামিল বিন সিদ্দিক (অনুবাদ-ভ্রমণকাহিনী); আবুল মোমেন (নাটক) এবং উত্তম সেন (বই অলকরণ)। পুরস্কার প্রদান শেষে শিশু একাডেমির শিশুদের পরিবেশনায় ছিল নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আপনার মতামত দিন: