Ameen Qudir
Published:2018-03-10 18:38:07 BdST
স্যালুট ডা. রফিকুল:উদারাময় রোগে মুমূর্ষু কোটি শিশুর নীরব প্রার্থনায় উদ্ভাসিত তিনি
মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ
_____________________
ওর স্যালাইন ( O R Saline) ডায়ারিয়া, কলেরাসহ উদারাময় জনিত আক্রান্ত শুধু বাংলাদেশরই নয়, বিশ্বের কোটি কোটি শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছে,বাঁচাচ্ছে,বাঁচাবে। এর আবিষ্কারক ক্ষণজন্মা পুরুষ ডা.রফিকুল ইসলাম।
২।মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন ক্যাম্পে অসংখ্য শিশু ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পরে। তখন শিরাপথে স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হত। এটি যেমন ঝামেলাপূর্ণ, তেমনি উচ্চমূল্যের। ফলে চিকিৎসা প্রদান প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এগিয়ে এলেন ডা. রফিকুল ইসলাম।' এক চিমটি লবণ, এক মুটি গুড় -পানি' মিশিয়ে বানালেন O R Saline।নীরব বিপ্লব সাধিত হল মুমূর্ষু শিশুদের চিকিৎসায়।
২।ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল' দ্য ল্যান্সেট ' ও আর এস কে বিংশ শতাব্দীর চিকিৎসা বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ আবিস্কার বলে উল্লেখ করে। যখন নোবেল কমিটি হাজারো নিরাপরাধ শিশু ও নারী খুনের পৃষ্ঠপোষক অং সান সুকিকে ' শান্তির জন্য ' নোবেল দিয়ে ধন্য হন তখন বাংলাদেশের এই মহান বীরের অবদান প্রায় উপেক্ষিতই থেকে যায়। কখনও অনেক ভাঁড়েরা যখন খবরের শিরোনাম হয় তখন এই মহান মুক্তিযোদ্ধার মহাপ্রস্থানের খবর চাপা পরে যায়।
৩।ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে এই চিকিৎসক সরাসরি অস্ত্র ধারণ করে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে সন্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন।তিনি গ্রেট ব্রিটেন থেকে ট্রপিক্যাল মেডিসিন এন্ড হাইজিন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেন ।দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি আই সি ডি ডি আর বিতে মেধা ও শ্রম দান করেন।
৪।রঙধনুর দেশে, অসীমে বড় নিভৃতে তিনি চলে গেলেন।। মালায় আর চন্দনে কেউ এগিয়ে না এলেও উদারাময়জনিত রোগে মুমূর্ষু কোটি শিশুর নীরব প্রার্থনায় তিনি উদ্ভাসিত হলেন।ডা. রফিকুল,আওয়ার কমান্ডার, আই স্যালুট ইউ উইথ প্রফাউন্ড রেসপেক্ট !
______________________
মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ ।
আর্মড ফোরসেস ফুড এন্ড ড্রাগ ল্যাবরেটরির উপ অধিনায়কের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। ঐতিহ্যবাহী এই ইউনিটটি সেনা, নৌ,বিমান বাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনীতে ব্যবহারকৃত সকল খাদ্যসামগ্রী এবং ড্রাগ তথা ওষুধ পথ্য পরীক্ষা - নিরীক্ষা করে ব্যবহারের উপযুক্ততা/ অনুপযুক্ততা নিরুপন করে।
এর আগে ছিলেন আর্মড ফোরসেস মেডিকেল কলেজএ ।
ওয়েস্টার্ন সাহারায় শান্তিরক্ষী হিসেবে সফলভাবে এক বছরের কাজ শেষে আর্মড ফোরসেস মেডিকেল কলেজে সহকারী অধ্যাপক, ফার্মাকোলজি বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন।
আপনার মতামত দিন: