Ameen Qudir

Published:
2017-05-30 16:15:52 BdST

হাতের বদলে অাঙুলের এক্সরে চালানোয় আপত্তি করায় ডাক্তারকে বেদম মারল প্যাথলজির মালিক


 

 

 

প্রহৃত ডাক্তারের ছবি পাওযা যায় নি। মডেল ছবি।

 

 

 

সংবাদদাতা
____________________

 

বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. শিমুল চন্দ্র দাশের ওপর হামলায় ঘটনায় প্যাথলজির মালিক সোহেল সরদারকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে স্থানীয় শাপলা প্যাথলজি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস.এম. কবীর হাসান বলেন, সন্ত্রাসীদের কাছে এখানকার চিকিৎসকরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। এক সপ্তাহ আগে সোহেল সরদারের হাতে গাইনি কনসালটেন্ট ডা. বিপুল বিশ্বাস লাঞ্ছিত হয়েছেন। সে প্রায়ই চিকিৎসকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ফিরোজ কবির জানান, মামলার প্রধান আসামি সোহেল সরদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে আগৈলঝাড়া উপজেলার দত্তেরাবাদ গ্রামের মৃত সোবাহান সরদারের পুত্র মো. মালেক সরদার (৫৫) চিকিৎসার জন্য তার ভাঙ্গা হাত নিয়ে হাসপাতালে আসেন। এ সময় ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিমুল তাকে কবজির জয়েন্ট-এর এক্স-রে করতে বলেন।

রোগী মো. মালেক এক্স-রে করতে হাসপাতাল চত্বরে শাপলা প্যাথলজিতে যান। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে রিপোর্ট নিয়ে চিকিৎসকের কাছে ফিরে যান।

চিকিৎসক শিমুল দাস জানান, রোগীকে হাতের কবজি ভাঙ্গায় জয়েন্টে এক্স-রে করতে বলা হয়েছে, কিন্তু প্যাথলজি কর্তৃপক্ষ তা না করে হাতের আঙ্গুলের আংশিক এক্স-রে করে দেন। বিষয়টি জানালে রোগী পুনরায় শাপলা প্যাথলজির মালিক সোহেল সরদারকে (৩৫) গিয়ে বলেন। এ সময় সোহেল রোগীকে এটাই সঠিক বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। রোগী এ রিপোর্ট মেনে নিতে না চাইলে সোহেল সরদার ও তার কর্মচারীরা রোগীকে মারধর করেন। এরপর রাত ৯টার দিকে শাপলা প্যাথলজির মালিক সোহেল সরদার আমার অফিস কক্ষে এসে তার প্যাথলজিতে করা এক্স-রে রিপোর্টকে কেন সঠিক নয় বলা হয়েছে-সেটা জানতে চান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সোহেল আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করে।এর জের ধরে কিছুক্ষণ পর সোহেল সরদারের শ্যালক ও তার শাপলা প্যাথলজির কর্মচারী শাহিন সিকদার (২৭) অফিস কক্ষে ঢুকেই আমাকে অতর্কিতভাবে চড়থাপ্পর দিতে থাকে। এ সময় আমি পড়ে গেলে হামলাকারীরা আমাকে বেদম মারধর করে । একপর্যায়ে আমার চোখ থেকে চশমা খুলে নিয়ে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে পিসে গুঁড়িয়ে দেয় এবং হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনায় চিকিৎসক শিমুল চন্দ্র দাস বাদি হয়ে গৌরনদী থানায় সোমবার একটি মামলা দায়ের করেন।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়