Ameen Qudir
Published:2017-03-22 23:13:23 BdST
রোগীকে রিং পরানোর পরামর্শ দিয়ে প্রতারণা মামলার আসামী অধ্যাপক চিকিৎসক
ডাক্তার প্রতিদিন
____________________________
রোগীকে চিকিৎসার একটি পথ বাতলে দিয়ে চিকিৎসা প্রতারণার মামলার আসামী হলেন রাজধানীর এক খ্যাতিমান অধ্যাপক চিকিৎসক ।
তিনি রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলেছিলেন, দ্রুত তার হার্টে রিং পরাতে হবে। কোথায় কম মূল্যে চিকিৎসা মিলবে; তাও বলে দেন তিনি।
কিন্তু ওই রোগী অন্য এক হাসপাতালে গেলে সেখানকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক চিকিৎসক ভিন্ন মত হন। বলেন, রিং না পরালেও চলে।
এই দুই মতের বিরোধে মামলা গড়িয়েছে আদালতে। আদালত জরুরি চিকিৎসার পরামর্শ দানকারীকে সমনও দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে চিকিৎসা প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে মিডিয়া সোচ্চার প্রতিবেদনও করেছে।
বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আইন আদালতের প্রতি আমরা সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। আদালত নিশ্চিত সুবিবেচনা প্রসূত রায় দেবেন, আমরা সবাই প্রত্যাশা করি। বিচারাধীন বিধায় মামলার চরিত্র বিবরণও প্রকাশ করা হল না। তবে সওয়ালের অধিকার ভুক্তভোগী সকলের ।
ভুক্তভোগী একজন সুপরিচিত লোকসেবী সজ্জন চিকিৎসক হিসেবে সর্বপরিচিত। তিনি রোগীকে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করেন নি। কি চিকিৎসার দরকার, সেটা বাতলে দেন।
তার বিরুদ্ধে চিকিৎসা প্রতারণা ও ক্ষতিপূরণের মামলা হওয়ায় অনেকেই অবাক।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের সুলেখক ডা. রূপন রহমান এ ব্যাপারে বলেন, "" দুজন ডাক্তারের মতামতে সব সময়ই পার্থক্য থাকে । কেউ কেউ রক্ষনশীল হয়ে শুধুমাত্র ঔষধেই রোগ নিয়ন্ত্রনে রাখতে চান । কেউ কেউ আবার প্রোএকটিভ হয়ে রোগকে আগে থেকেই নিরাময় করতে চান । যা আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা । হাসপাতালের একই বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটের স্যারদেরকে এক রোগীর ভিন্ন ভিন্ন চিকিৎসা নিয়ে কথা কাটাকাটি করতেও দেখেছি । তবে এ ক্ষেত্রে যদি বলা হতো রোগীর হার্টে কোন সমস্যাই নেই , তাপরেও প্রথম ডাক্তার ইচ্ছাকৃত ভুল করে টাকা কামানোর ধান্ধায় রোগীকে রিং পরাতে চেয়েছিলো তা হলে তা অবশ্যই প্রতারনা হতো । ""
ডা. মাহবুবুর রহমান মাহবুব জানান, "" এক্ষেত্রে আদালত ডাক্তার ভুল/অপরাধ করে থাকতে পারেন বলে ধরে নিয়েছেন । একই হতে পারতো পরবর্তী মতামতের ক্ষেত্রেও । তবে সেটা সংবাদে আসে নাই । বিচারাধীন বিষয় মন্তব্য করলাম না। তবে ওই ডাক্তারকে সোজা কথার মানুষ হিসেবেই জানি।""
আপনার মতামত দিন: