Ameen Qudir
Published:2019-09-25 21:26:16 BdST
অধ্যাপক ডা. হেদায়েতুল ইসলামের ৮৫তম জন্মদিনে চিকিৎসকদের মিলনমেলা
প্রিয় স্যারের ৮৫তম জন্মদিনে তাঁর উত্তরপ্রজন্মের আমরা। ছবি ও কথা : অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল
ডেস্ক
____________________
বাংলাদেশের মনোরোগ চিকিৎসার জীবন্ত কিংবদন্তি; উপমহাদেশ খ্যাত মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হেদায়েতুল ইসলামের ৮৫তম জন্মদিন গত ২৪ সেপ্টম্বর ২০১৯ এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকার এক ক্লাবে অনুষ্ঠিত হল। চিকিৎসকসহ তাঁর বন্ধু বান্ধব স্বজনপরিজন,স্নেহভাজনবর্গ এতে অংশ নেন। সবাই স্যারের দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
অধ্যাপক ডা. হেদায়েতুল ইসলাম এক বক্তব্যে বলেন, সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। অপরিসীম ভালবাসা সকলের পেয়েছি। জীবনে বাংলাদেশে মানসিক রোগীদের আন্তরিক সেবা দিতে পেরে আমি ধন্য। দেশে ও বিদেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমার কাজের জন্য স্বীকৃতি পেয়ে আমি সব সময় উৎসাহিত বোধ করেছি। রোগীদের জন্য কাজ করে যেতে আরো বেশি আগ্রহী হয়েছি।
প্রখ্যাত লেখক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম লিখেছেন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর রূপকার ও প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্যের জীবন্ত কিংবদন্তি, আমার প্রথম মেন্টর অধ্যাপকহেদায়েতুল ইসলাম স্যারের ৮৫ তম জন্মদিন, ২৪ সেপ্টম্বর রাতে সাড়ম্বরে পালিত হয় অফিসার্স ক্লাবে।স্যারের সুস্থ ও শতায়ু জীবন কামনা করছি।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল ওয়াহাব মিনার এক লেখায় জানান,
২৪ সেপ্টম্বর ২০১৯ সন্ধ্যায় সাইকিয়াট্রির প্রখ্যাত অধ্যাপক প্রফেসর হেদায়েতুল ইসলামের ৮৫তম জন্মদিবস উদযাপিত হয় ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে ।
তিনি সাইকিয়াট্রির দিকপাল৷
আমাদের শিক্ষাগুরু এই শিক্ষকের কাছে শুধু সাইকিয়াট্রি শিখিনি আমরা শিখেছি মানব কল্যানে নিবেদিত হবার যাবতীয় কৌশল।
তিনি সাইকিয়াট্রিকে ধারন করতেন। তাই সরকারি ও বেসরকারিভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশ, বিদেশে মানসিক রোগকে পরিচিত করে তুলেছেন, চিকিৎসা দিয়েছেন, প্রচুর উন্নত মানের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরী করেছেন।
তিনি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
তিনি সাইকিয়াট্রিকে এতোই ভালবেসেছেন যে আপন ঘরে আরও চারজন বিশেষজ্ঞ পয়দা করেছেন, তার সহযোদ্ধা বানিয়েছেন সমাজের কুসংস্কার, আলগা লাগা, ভুতে ধরার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য। এ যুদ্ধে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। ইমাম, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবিদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কারনে মানুষের দৃষ্টিভংগী পাল্টিয়েছে, মানুষ মানসিক রোগকে আজ স্রেফ আর চারটা শারীরিক রোগের মতোই মনে করে, চিকিৎসা নেয়। যারা এই অপচিকিৎসার সাথে জড়িত ছিলেন তারা নিজেরাই মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রোগী পাঠান।
আপনি স্যার আরও বেশিদিন আপনার এই সুকর্ম নিয়ে মানুষের মাঝে বেচেঁ থাকুন।
আপনার অসমাপ্ত কাজ যেন আমরা শেষ করতে পারি সে প্রার্থনা করবেন আমাদের জন্য ।
আপনার মতামত দিন: