Dr.Liakat Ali

Published:
2022-03-15 22:19:22 BdST

বন্দিদের জেরাকালে হাত-পা বেঁধে কাতুকুতু দিয়ে নির্যাতন, অভিনব চীনা শাস্তি


 

অধ্যাপক ডা শুভাগত চৌধুরী
_________________

বাংলা সাহিত্যে অসাধারন সব গল্প কবিতা লিখে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সুকুমার রায়।
আর যেখানে যাও নারে ভাই সপ্ত সাগর পার
কাতু কুতু বুড়োর কাছে যেওনা খবরদার
অনেকে হাসেন না । আমাদের মধ্যেও এমন আছেন । এমন লোকদের হাসতে হবে কাতু কাতু বুড়োর পাল্লায় পড়লে । জোর করে হাসাতে লম্বা পালক দিয়ে সুড়সুড়ি দিতেন সেই বুড়ো । আমি দেখেছি অনেকে এমন কাতু কাতু অনেকে দেন পেটে হাতের খোঁচা দিয়ে। আবার কাউকে কাতুক্তুর ভঙ্গি দেখালে আবার কেউ এর কথা শুনলেও দম ফাটা হাসেন। দেখুন আমি যে বলছি অনেকে নিশ্চয় হাসছেন দারুন।

সুবিধা হল এমন নির্যাতন বা অত্যাচার রক্তপাত হীন , চিহ্ন থাকার জো নাই।এমন টরচার (বলা ঠিক হচ্ছে এমন দুষ্টু মিষ্টি জ্বালাতন কে?) বা চিনা দাওয়াই ব্যবহৃত হচ্ছে নানা দেশে । আমাদের দেশে হয়নি , শুনিনি।
বহু দিন ধরে বন্দিদের উপর এমন দাওয়াই প্রয়োগ করা হয়েছে। জেরার সময় তাদের হাত পা বেধে এমন কাতু কুতু অত্যাচার চলত ।

অনেক সময় জমিদার বা অ ভি জাত ব্যক্তিরা অনেক কে শারীরিক হেনস্থা , অপমান করা বা দমানোর জন্য ধরে এনে কাতু কুতু দিতেন এদের হাসতে হাস তে প্রান হত ওসঠাগত/ চিনের হান বংশের রাজত্ব কালে যার প্রচলন তা পরে ছড়িয়ে পড়ে ইংল্যান্ডে , ইতালি অ্যামেরিকায় জার্মানিতে ।

কাতু কুতু কি হাসানোর উপাদান ? আমেরিকান লেখক ক্যারোলিন হাস্ক বলেছেন এর মাত্রা বেশি হলে তা অত্যাচারের পর্যায়ে চলে যায় ।
বলা হয় নাৎসি জার্মানিতে বন্দী শালায় বন্দীদের কাতু কুতু দিতে দিতে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে ।

আরও ইতিহাস ।
২০৬ খ্রিষ্ট পূর্বে হান্ সাম্রাজ্যের সময় প্রজাদের উপর কাতু কুতু অত্যাচার চালাতেন অভিজাত লোকেরা । সুবিধা ছিল এতে কোন রক্তপাত হতনা আর ছেড়ে দিলে ভের প্রভাব থাকত না,।

চিনের গণ্ডি অন্যন্য দেশেও এল এই অত্যাচার কেমন করে এল তা জানা যায়নি তবে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় নাৎসিরা এর প্রয়োগ করেছেন বন্দীদের উপর।

কিছু বর্ণনা করেছেন জোসেফ কো হায়ট বলে একজন বন্দি , সমকামি হয়ার জন্য তাকে বন্দি হতে হয় এই অস্ট্রিয়ানকে বন্দি শালায়

ফ্লসেনবারগের বন্দী শালায় তিনি দেখেছেন কি করে বন্দীদের কাতু কুতু দেয়া হত। ১০৭২ সালে দি ম্যান উইথ দা পিঙ্ক ট্রায়াঙ্গল " বইতে জো সেফের কাহিনি তুলে ধরেছেন হ্যান্স নিউম্যান।

ইউরপের অনেক দেশে এর ব্যবহার হয়েছে। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জরনালে আছে এর বর্ণনা । ইতালিতে জেল বন্দিদের হাত পা বেঁধে তাদের পায়ে নুন জল মাখিয়ে শুইয়ে তাদের সামনে ছেড়ে দেওয়া হত ছাগলদের ।
এর পর ।
ছাগলরা পায়ের তলা চাটা শুরু করত । চাটতে চাটতে একসময় পায় যেত শুকিয়ে এদিকে কাতু কুতুতে অস্থার বন্দী ।
আবার নুন তেল মাখান হত পায়ের তলায় । আবার ছাগল চাটে । কি ভয়ানক অত্যাচার প্রমান হিন। রক্ত পাত হিন।

১৫০২ সালে এক ইতালিয়ান সন্ন্যাসির বইয়ে আছে এর বর্ণনা।
\
প্রাচীন জাপানে পৌঁছে যায় এই অত্যাচার । শিকেই নামে এই দাওয়াই এর অংগ হিসাবে অপরাধিদের দেওয়া হত নির্মম ভাবে এই কাতু কুতু ।

এই কাতু ক্তু প্রাচিন ইংল্যান্ডে আর আমেরিকায় চলেছে ।

সুকুমার রায়ের কবিতায়ু আছে কিছু মানুষ রাম গরুড়ের ছানা
হাসতে তাদের মানা । হাসির কথা শুনলে বলে হাসব না না।
এদের কাতু ক্যতু দিয়ে দেখুন কি হয়
তবে আপনি খেলা চ্ছলে কাতু কুতু কাউকে দিলেও অত্যাচারের পর্যায়ে নিয়ে যাবেন না।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়