Ameen Qudir

Published:
2019-10-04 00:46:12 BdST

টি ব্যাগ থেকে সাবধান!


 


ডেস্ক/ সংবাদ সংস্থা / নয়াদিল্লী টিভি
টি ব্যাগ থেকে সাবধান। অপেক্ষা করছে বিপদ। এমনটাই বলছে গবেষকগন। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে এক কাপ গরম চা, সকাল-বিকেল কাজের ফাঁকে আরো এক কাপ চা এবং অফিস চত্বরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চায়ের তেষ্টা মেটাতে টি-ব্যাগের ওপরেই ভরসা করতে হয় বেশির ভাগ চাকুরিজীবী মানুষকে। এ ছাড়াও অনেকেই বাড়িতে চটপট করে চা পান করতে টি-ব্যাগের ওপরেই ভরসা রাখেন। এই আয়েশে আপত্তির সুর তুললেন গবেষক। এই টি-ব্যাগগুলো চায়ের কাপে ডোবানোর আগে একটু খেয়াল করে দেখুন, ওইগুলো প্লাস্টিকের তৈরি নয় তো!
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নাথালি টুফেঙ্কজি পরীক্ষা করে দেখেন, প্লাস্টিক উপাদান মিশ্রিত টি-ব্যাগগুলো গরম পানিতে ডুাবানো হলে, সেগুলো থেকে গরম চায়ের মধ্যে অসংখ্য প্লাস্টিকের কণা মিশে যায়।
টুফেঙ্কজি ও তার সহকারী গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেন, একটি টি-ব্যাগে থেকেই চায়ের সঙ্গে মেশে এক হাজার একশ কোটি (১১ বিলিয়ন) মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং তিনশ কোটি ন্যানোপ্লাস্টিক কণা। চলতি মাসেই ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামের মার্কিন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য সামনে এসেছে।
অধ্যাপক টুফেঙ্কজি জানান, বেশ কয়েকটি সংস্থা কাগজের পরিবর্তে প্লাস্টিক উপাদান মিশ্রিত টি-ব্যাগ বানাচ্ছে। আর এই সব টি-ব্যাগ থেকেই আমাদের শরীরে ঢুকছে প্লাস্টিকের বিষ। এ ছাড়া কিছু ক্ষেত্রে কার্সিনোজেনের উপস্থিতিও লক্ষ্য করেছেন তারা।
অধ্যাপক টুফেঙ্কজির মতে, টি-ব্যাগে যে পিনের সাহায্যে সুতো আটকানো থাকে, সেই পিনও আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা এফএসএসআই-ও এ বিষয়ে অধ্যাপক টুফেঙ্কজির সঙ্গে একমত হয়ে টি-ব্যাগের পিনের বিকল্প খোঁজার পরামর্শ দিয়েছে চা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোকে।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকও টি-ব্যাগ ব্যবহারে বিপদের আশঙ্কা করছেন। নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহে একজন ব্যক্তির শরীরে প্রায় পাঁচ গ্রাম প্লাস্টিক প্রবেশ করে টি-ব্যাগের সাহায্যে। তাই টি-ব্যাগে ব্যবহৃত উপদান সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
অনুবাদ সূত্র : এনডিটিভি

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়