Ameen Qudir
Published:2018-02-17 01:58:29 BdST
"আপনার চাহিদা মেটাতেই ডাক্তাররা চেম্বারে বসেন আর উপকার করে গালিগালাজ খান"
ডা. আসিয়া চৌধুরী
________________________
জনৈক ভদ্রলোক চেম্বারে ঢুকেই পায়ের উপর পা তুলে বসলেন।প্রথম রুগীটা শেষ করে উনার ডায়াবেটিস এর বইটা হাতে নিলাম।দুএকটা কথা বলার পর উনি বলে বসলেন,বিচক্ষণতার সাথে-ডাক্তারদের মধ্যে দূর্নীতিতে ভরে গেছে।আমি আড় চোখে দেখলাম,তাকে দেখে শিক্ষক ই মনে হয়েছে।আমি বললাম জ্বি বাবা,সব খানেই দূর্নীতি।শিক্ষক রা স্কুল ফাকি দিয়ে কোচিং করান(ব্যবসার কথাটা ভদ্রতা বজায় রাখার জন্য বললাম না)।তিনি নড়েচড়ে বসলেন,বুঝলাম ধারনা টা ঠিক ই।
এবার তিনি আবার শুরু করলেন-"সব ডাক্তার ই যে এমন তা না।তবে বেশির ভাগ ডাক্তার ই এমন।এই যে দেখেন না হাসপাতাল বাদ দিয়ে চেম্বার করে
।"আমি এবার এ সব প্রসংগ বাদ দিয়ে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিয়ে কথা বলা শুরু করলাম।এর মধ্যে জানলাম তিনি এক কলেজের প্রফেসর।এত শিক্ষিত মানুষ কে জ্ঞান দেবার ক্ষমতা আমার নায়।আমি প্রায় স্যার/ম্যাডাম দের কাছে রুগী রেফারড করি,আজ সেটাকে কাজে লাগালাম।আমি বললাম-বাবা আপনার তো ডায়াবেটিস ছাড়াও অনেক প্রবলেম আছে,আপনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউট ডোরে মেডিসিন বিভাগে দেখা করবেন টিকিট কেটে।উনি যেন কথাটা ঠিক গলাধকরন করতে পারলেন না।তিনি আবার প্রশ্ন করলেন-একজন বিশেষজ্ঞের নাম বলেন আর যদি চেম্বারের ঠিকানাটা বলতেন।আমি এবার হাসতে হাসতে বললাম -বাবা আপনার চাহিদা মেটানোর জন্যই ডাক্তাররা চেম্বারে বসেন আর আপনার উপকার করে গালিগালাজ খান।এবার তিনি ব্যাপারটা নিজেই বুঝলেন।
আসলে ডাক্তার হওয়ার মাশুল এভাবেই ডাক্তারদের দিতে হয়।রুগী দের চাহিদা অনেক যেটা তারা ভি আই পি জায়গায় বসে ফ্রি তে পেতে চাই।
_____________________
ডা. আসিয়া চৌধুরী । সুলেখক।
Diabetic Association of Bangladesh,Chapai Nawabgonj
আপনার মতামত দিন: