Saha Suravi

Published:
2024-09-02 12:50:59 BdST

"আমার খুবই স্নেহাস্পদ তিন স্কলার"


 

অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনুস

প্রাক্তন অধ্যক্ষ,

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ


_______________________

একটা কাহিনী
একটা থ্রি ইন ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়
শুভেচ্ছা অভিনন্দন
আমার খুবই স্কলার স্নেহাস্পদ তিন জন দেশের সাধারন ও বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের লীড অবস্থানে পদায়িত হয়েছে।
প্রথম জন ভাইপো অধ্যাপক ড নিয়াজ এ খান আমাদের রানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা উত্তর সবচেয়ে বিদ্বান ভিসি। যখন প্রথম শিক্ষকতায় যোগদান করে তখন সবসময় গবেষণা নিয়ে জানতে চাইতো।
দ্বিতীয় জন অধ্যাপক সাইদুর রহমান শিক্ষকতা জীবনের শুরুর দিকের খুবই প্রিয় ছাত্র। আরেক স্কলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি।
তৃতীয় জন আরেক ছাত্র। অধ্যাপক শাহিনুল আলম। একজন বিজ্ঞানী যে অত্যন্ত অবহেলিত একটা রোগকে বিশ্লেষণ করে জনস্বাস্থ্যে এর গুরুত্ব অবহিত করে চলছে ও এ ব্যাপারে একজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রিসোর্স পারসন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি।
এদের সম্পর্কে সবাই জেনেছেন। আমার এ কাহিনী তাদের জন্য উপসর্গীকৃত ও এই সময়ের দেশের কান্ডারী বিশ্বের সবচেয়ে জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান নোবেল লোরেট ড ইউনুসের অবগতির জন্য। কাহিনীটি শুনে ছিলাম ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও আমার এক গবেষণা সহকর্মীর কাছে কাজের ফাকে কফি গসিপের সময়।
একদেশের রাজার ইচ্ছা হলো তার দেশে বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবেন। তিনি তার সভাষদদের জানালেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের থীম দিলেন। 'লীড ইন এডুকেশন এন্ড সায়েন্স ইন দি ওয়াল্ড ইন এ ডিকেড'। এবং নির্দেশ দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়কে সত্যিকার অর্থে বৈশ্বিক করতে হবে ও জ্ঞান বিতরনের পাশাপাশি জ্ঞান ও জ্ঞানী তৈরী ও বিকাশ করতে হবে। তাই ফেকাল্টির একটা অংশ হবে দেশের বাকী হবে ভিন্ন ভিন্ন দেশের বিশ্ব খ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেই অনুযায়ী কাজ হলো। সেই বিশ্ববিদ্যালয় এখন বিশ্ব খ্যাত। শিক্ষা, প্রশিক্ষন, গবেষণা, বৈজ্ঞানিক তৈরীতে এবং বিশ্বের রিচার্স ফান্ডের বিরাট অংশ ও জার্নালে পাবলিকেশন দখল করে। ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আর শিক্ষকরা একই সাথে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আমেজ ও একসেস পায়। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড আর হার্ভার্ড। ঐ বিশ্ববিদ্যালয় গুলির শিক্ষক ও গবেষকগন এখানে কাজ করেন।
এই বিশ্ববিদ্যালয় হলো মাহিদল বিশ্ববিদ্যালয়, দেশ থাইলেন্ড আর রাজা ভুমিবল।
তুলনীয় আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমানের শিক্ষায়ন ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স। জহরলাল নেহরুর মানস  সন্তান। বিশ্বের রিসার্চ ফান্ড ও পাবলিকেশন দখলে এবং রিসোর্স পারসন রফতানীতে আরেক শীর্ষ স্থানীয়।
আমাদের দুঃখ আমরা ভুমিবল পাইনি, পাইনি নেহরু।
তবে আমরা এখন পেয়েছি ড ইউনুসকে যিনি নিজের তৈরী জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মাইক্রোক্রেডিট থেকে সোশ্যাল বিজনেস পেরিয়ে এখন ত্রি জিরোতে বিশ্বকে নিয়ে যাচ্ছেন।
সাধ থাকলে সাধ্য হবেই। সেই সাধকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তোমরা তিনজন এই হলো আমার শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন।
দিবা স্বপ্ন দেখতে দেখাতে আর তাকে ধরতে দৌড়ের উপর থাকো। সীমানা পেরিয়ে দিগন্ত পানে।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়