ডেস্ক

Published:
2022-04-07 18:32:47 BdST

ড. তাহেরের কিশোরী কন্যা আইনজীবী হয়ে ১৬ বছর আইনি লড়াই করে যেভাবে পিতা হত্যার বিচার পেলেন


 

ডেস্ক
_________

আইনজীবী সেগুফতা তাবাসসুম অদম্য বিচারপ্রার্থী। শেষ পর্যন্ত তাঁর বিচার প্রার্থনার জয় হয়েছে। নিজ পিতার খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে তিনি আইন পড়াশোনা করেন।
আইনজীবি হয়েছেন।

সৈয়দ মাহবুব খান অনন্য ভাষায় জানিয়েছেন পুরো সত্য। পাঠকের কাছে তা পেশ হল।
তিনি লিখেছেন, ছবির ক্রন্দনরতা মেয়েটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত অধ্যাপক তাহের হত্যাকান্ডে দীর্ঘ ১৬ বছরের আইনি লড়াই শেষে আইনজীবী সেগুফতা তাবাসসুম।
তিনি ছিলেন তার পিতার খুনের মামলার একজন আইনজীবী। দীর্ঘ ১৬ বছরের আইনি লড়াই শেষে গতকাল তিনি তার পিতা হত্যার বিচারের চূড়ান্ত রায় পেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে।

তাবাসসুমের বাবা তাহের আহমেদ ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক। তার বাবাকে যখন হত্যা করা হয় তখন তিনি উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী।

বাবা হত্যার ঘটনায় প্রত্যাশিত বিচার নিশ্চিতের জন্য তিনি তার জীবনের লক্ষ্য পাল্টিয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তীতে বিচারিক আদালতের রায় সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে গেলে সেখানে যাতে বাবা হত্যার ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয় তার জন্য তিনি হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে অনুশীলন শুরু করেন।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ তাবাসসুমের বাবা হত্যার বিচারের রায় প্রদান করেছে। অধ্যাপক তাহের আহমেদকে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরো দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

অবাক করা ব্যাপার হলো অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলার মূল আসামী তারই ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক মহিউদ্দিন, যিনি কিনা একসময় অধ্যাপক তাহেরের ছাত্র ছিলেন।

শুধুমাত্র কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির পথে বাধা হওয়ায় মহিউদ্দিন, জনাব তাহেরের বাসার কেয়ারটেকারকে সাথে নিয়ে তাকে খুন করে তার লাশ শিক্ষক কোয়ার্টারের বাসার বাইরের ম্যানহোলে ফেলে দেয়।

বাবা হত্যার বিচারের সঠিক রায় পেতে কন্যা তাবাসসুমের দীর্ঘ ১৬ বছরের ক্লান্তিহীন এ লড়াই অনন্য নজির হয়ে থাকবে।
সূত্রঃ Sayeed Mahbub Khan এর টাইম লাইন

জিয়াউর রহমান খান লিটন লিখেছেন,

ড. তাহের স্যার ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত আমার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন। তার মত বিজ্ঞ, জ্ঞানি, সৎ, নির্লোভ, ছাত্র ছাত্রীদের সাথে বন্ধুসুলভ নিরহংকারী শিক্ষক আমার জীবনে আমি কমই পেয়েছি। স্যারের মত মানুষকে কেউ হত্যা করতে পারে ভাবতেই আমি শিউরে উঠি।
স্যারের অপরাজিতা নিবেদিতপ্রাণ মেয়ের প্রতি শুভ কামনা। ঘৃনা এবং ধিক্কার জানাই স্যারের খুনিদের।"

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়