SAHA ANTAR

Published:
2021-09-18 17:33:27 BdST

নেশার অনুভব ধরতে পারলেও, ফ্রুক্টোজ-এর রক্তে মেশা মস্তিষ্কের অনুধাবনের বাইরে


 

ডা.সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়
___________________
মানবশরীর বা আরো ভালো করে বলতে হলে মানবমস্তিষ্ক, সুরা বা গাঁজা, বা মাদক ইত্যাদি র রক্তে উপস্থিতি অনুভব করতে পারে, এর থেকেই নেশা হওয়া বা মত্ত হওয়া র অনুভব।

অথচ, ফ্রুক্টোজ এর রক্তে মেশা মস্তিষ্কের অনুশাসনের বাহিরে, তাই মানুষ মিষ্টির পর মিষ্টি, ১০০% ফলের রসের পর ১০০% ফলের রস খেয়েই চলে, মস্তিষ্ক বুঝতে পারে না।

একটি ক্ষুধার প্রশমন কারী হরমোন মানবশরীরে আছে, তার নাম লেপ্টিন। লেপ্টিন ক্ষরিত হয়, তখন যখন শরীরের অধিকাংশ ফ্যাট কোষ বা সেল গুলি ভর্তি হয়।
মুশকিল হলো, ইনসুলিনের উপস্থিতি প্রবল এবং ক্রমাগত হলে লেপ্টিনের উপস্থিতি মনুষ্যমস্তিষ্ক অনুধাবন করতে সক্ষম হয় না, যেকারণে আজকালকার ফাস্ট ফুড খাওয়ার সময় মানুষ টি খেয়েই চলে, খেয়েই চলে।

সম্ভবত: অভিযোজন চক্রে মানুষ( Homo Sapiens) আরো আগে থেকে মাদকগ্রহণে অভ্যস্ত ছিল, তাই মস্তিষ্কে সংকেত যায়, এবং তিনি / সে মাদক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ অথবা বন্ধ করেন/করে।

চিনি বা ফ্রুক্টোজ আরো পরের অভিযোজন বা আরো পরে খাদ্য তালিকায় আসার ফলে অতি ধীর অভিযোজন পদ্ধতি এখনো তাকে আত্তীকরণ মানবমস্তিষ্ক করে উঠতে পারেনি।

অভিযোজন যে অতি ধীর লহমায় চলা একটি ক্রিয়া, আমাদের Coccyx নামক অস্থি এবং Appendix নামক অঙ্গ ই তার প্রমাণ, আজো, এই ২০২১ তেও।

তাই ই হয়তো স্থূলতা এতো সার্বজনীন, এতো ব্যাপক, এতো সব বাধা বাঁধ ভেঙে আসা প্রগলভ উচ্ছাস।।

 

_______________

ডা. সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় ভারতবর্ষের একজন শীর্ষ
ডায়াবেটিস এনডোক্রাইনোলজি কনসালটেন্ট ;তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসাবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন। এমডি করেছেন। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও মাদ্রাজ মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
তিনি বাংলা, ফরাসী , ইংরাজী সহ বহুভাষায় পারদর্শী।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়