Dr. Aminul Islam

Published:
2020-10-07 01:44:26 BdST

সড়ক পথেই ঢাকায় এলেন নতুন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম



ডেস্ক
_________________

বাংলাদেশে এসেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের নতুন হাইকমিশনার সুদর্শন বিক্রম দোরাইস্বামী। সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তিনি বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আকাশপথে চলাচল বন্ধ আছে। এ কারণে তিনি স্থলপথে বাংলাদেশে এলেন। সদ্য সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি।

ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে ঢাকায় রওনা হওয়ার আগে হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এখন বাংলাদেশ সীমান্তে আমি এসেছি। আমাদের কাছে বাংলাদেশের প্রত্যাশার কথা শুনব এবং উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সেটি জানাব। তিনি আরও বলেন, ভারতে আমরা বাংলাদেশকে আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু মনে করি। বাংলাদেশের সঙ্গে আরও কীভাবে অংশীদারত্ব বাড়ানো যায়, সেটি নিয়ে আমি কাজ করব। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পরই আমি কথা বলব। এখন কিছু বলা অনুচিত হবে। অন্যথায় মানুষ বলবে, আমি বেশি বলে ফেলছি।

বাংলাদেশে দায়িত্ব পেয়ে আমি গর্বিত: দোরাইস্বামী

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়,
ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশে দূতের দায়িত্ব পেয়ে তিনি গর্বিত বলে জানালেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। ত্রিপুরা সীমান্তে আগরতলা-আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে যান বিক্রম ও তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা। বিক্রমই প্রথম হাইকমিশনার যিনি আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে গেলেন।

বাংলাদেশে যাওয়ার আগে বিক্রম বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের গুরুত্ব অনেক। নৌ, রেল, সড়কপথ উন্নয়ন এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের দিকে নজর দেব।’’ দোরাইস্বামী জানান, চিকিৎসা-সহ জরুরি কারণের ক্ষেত্রে ভিসার ব্যবস্থা দ্রুতই করা হবে। তবে ভ্রমণ সংুক্রান্ত ভিসা বর্তমান পরিস্থিতিতে চালু করা উচিত কি না তা ভেবে দেখতে হবে।

বিতর্কিত মুহুরিচর এলাকা নিয়ে দোরাইস্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বিধায়ক বাদল চৌধুরী। তিনি জানান, এই এলাকা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে একটি খসড়া চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু এখনও সমস্যা মেটেনি। দোরাইস্বামী বিষয়টি দেখবেন বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেন।


বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় পরীক্ষামূলক ভাবে সড়ক ও নদীপথে পণ্য আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু এখনও সেই পথকে লাভজনক বলে মনে করছেন না ত্রিপুরার ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ত্রিপুরার ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে রফতানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোর আর্জিও জানানো হয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি প্রসঙ্গে দোরাইস্বামী বলেন, ‘‘বিষয়টি আমি জানি। ভারতে এখন পেঁয়াজ উৎপাদন কম। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশে রফতানির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে।’’ দোরাইস্বামীর কথায়, ‘‘আমি বাংলা কিছুটা বুঝতে পারি। কিন্তু বলতে পারি না। শিখতে চাই। আগামী দিনে আপনাদের সঙ্গে বাংলায় কথা বলার ইচ্ছে রইল।’ সূত্র আনন্দবাজার পত্রিকা

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়