DR> RAZ AHMAD

Published:
2020-08-27 01:06:20 BdST

মানসিক স্বাস্থ্য, অবসাদ নিজ অভিজ্ঞতার কথা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড দীপিকা


 

ডেস্ক
____________

মানসিক স্বাস্থ্য ও অবসাদ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দিয়েছিলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। এক সময় তিনিও দীর্ঘ দিন ভোগেন মানসিক রোগে। অবসাদে। নেন মেয়াদী চিকিৎসা। তাকেও আত্মহত্যার মত প্রবৃত্তি তাড়া করে বেড়াত। কিন্তু সেই দু:সময় চিকিৎসকদের কল্যাণে কাটিয়ে উঠতে সফল হন। সুস্থ হয়ে ওঠেন জাগতিক ঈশ্বরদের চিকিৎসা ও কাউন্সেলিংএ । সেই আলোকে দীপিকা মাঝে সাধারণ মনোরোগ ভোগা মানুষকে অবসাদ কাটিয়ে জীবনমুখী হতে তাগিদ দেন সমাজকল্যাণে। কিভাবে সুস্থ থাকা, তার পরামর্শ রাখেন। ২০১৫ সালে প্রথমবার অবসাদ সম্পর্কে নিজের মতপ্রকাশ করেছিলেন দীপিকা। খুলে নিজ জীবন কথা। বাঁচার কথা। পরে আরও কয়েকবার।
এবার ঘটল অনভিপ্রেত ঘটনা। আপন আলোকে
মানসিক স্বাস্থ্য, অবসাদ নিয়ে কথা বলে শিকার হলেন নেটিজেনদের ওয়েব হামলার।

ট্যুইটারে টপ ট্রেন্ড হ্যাশট্যাগ ‘রিপিট আফটার মি’। এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে দীপিকাকে ট্রোল করা হচ্ছে। অনেকেই বলিউড তারকা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু, বলিউডে স্বজনপোষণের কথা উল্লেখ করে তাঁকে আক্রমণ করছেন। অনেকেরই অভিযোগ, অবসাদকে রসিকতা হিসেবে ব্যবহার করেছেন এই অভিনেত্রী। তিনিই আবার সহানুভূতি আদায় করার জন্য অবসাদকে ব্যবহার করেছেন বলেও দাবি অনেকের।


২০১৫ সালে প্রথমবার অবসাদ সম্পর্কে নিজের মতপ্রকাশ করেছিলেন দীপিকা। এরপর থেকেই তিনি নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বের বিষয়ে নানা মন্তব্য করে আসছেন। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি এবং মানসিক সমস্যায় পড়া ব্যক্তিদের সাহায্য করার জন্য ‘লিভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংস্থাও গড়ে তুলেছেন দীপিকা। এই সংস্থা মানসিক রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে প্রচার শুরু করেছে।


গত ১৪ জুন সুশান্তের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তিনি অবসাদে ভুগছিলেন এবং সেই কারণেই আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানান তদন্তকারীরা। এই মামলার তদন্তভার এখন সিবিআই-এর হাতে। সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ খুলে আক্রমণের মুখে পড়লেন দীপিকা।


আর সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক পরপরই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সমাজে সচেতনতা প্রচারের জন্য বেশ কয়েকটি পোস্ট করেন দীপিকা। সেসময় #repeat after me হ্যাজট্যাগে দীপিকা বেশকিছু টুইট করেছিলেন।

তবে পরে সুশান্তকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি করে তাঁর পরিবার। ইতিমধ্যেই এই মামলায় CBI তদন্তের রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় মানসিক অবসাদ নিয়ে পোস্টের জন্য ফের একবার সমালোচনার মুখে পড়লেন দীপিকা।

দীপিকাকে আক্রমণ করে 'দ্যা স্কিন ডক্টর বলে একটি টুইটার হ্যান্ডেল' থেকে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ''দীপিকা হলেন মানসিক অবসাদের বিশেষজ্ঞ, কারণ উনি একদশক আগে মানসিক আবসাদে ভুগেছিলেন। যেমন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াকালীন আমায় বানর কামড়েছিল, তাই আমি বন্যজীবন নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছি। যে যেটি ভোগ করে, সেই সেবিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে যান''

'দ্যা স্কিন ডক্টর বলে একটি টুইটার হ্যান্ডেল' থেকে করা পোস্টে প্রসঙ্গ টেনে আরও একজন মজা করে লিখেছেন, ''আমি দ্বৈত ব্যক্তিত্বের সমস্যায় ভুগছিলাম, কারণ আমার বাবা আমায় ছোটবেলায় মেরেছিলেন, আর আমি কাঁদছিলাম। পরে আমার বাবা বলল, কাঁদলে আবারও মারবেন, তাই আবার হাসতে শুরু করলাম। আর এখন আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছি।''

আরও এক ব্যক্তি দীপিকার পুরনো টুইট শেয়ার করে দীপিকার উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ''আপনিআ (দীপিকা) বলেছিলেন, কেউ একা নয়, কথা বলুন, তাহলে আপনি (দীপিকা) কি সুশান্তের সঙ্গে কথা বলেছিলেন? আপনি তোমার রিসেপশনের পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন? ও (সুশান্ত) তো একা হয়ে গিয়েছিল? জ্ঞান দেন বন্ধ করো।''


আরও এক ব্যক্তি দীপিকাকে আক্রমণ করে লিখেছেন, ''স্ব-ঘোষিত মানসিক অবসাদ বিশেষজ্ঞ। দীপিকা সুশান্তের মৃত্যুতে মানসিক অবসাদের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য ভীষণই চেষ্টা করেছিলেন। কোনও তদন্তের অপেক্ষা না করেই বলিউডের কিছু লোকজনকে আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে।''

দীপিকাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হওয়া নিয়ে আক্রমণ করতে ছাড়েননি কঙ্গনা রানাওয়াত। তাঁর কটাক্ষ, অবসাদের 'ধান্দা চালানে ওয়ালি'কে জনতা 'অওকত' দেখিয়ে দিয়েছেন।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়