Ameen Qudir
Published:2020-04-15 18:32:48 BdST
চোখের জল আমি আটকাতে পারি না: আমরা কত লাশে ভারী করব এই বাংলার বুক!
পরিবার সদস্যদের সঙ্গে ডা. মইনুদ্দিন
ডা. অসিত মজুমদার
________________________
সকাল ছয়টায় ঘুম ভেঙ্গে গেছে। ফ্রেশ ঘুম। ভাবলাম আজ করোনা ভাইরাস নিয়ে কিছু লিখব না। সকালের কাজ কর্ম সারতে না সারতেই এক মায়ের কোল খালি করা সংবাদ দেখে আমি স্তব্ধ, বাকরূদ্ধ। চোখের জল আমি আটকাতে পারি না। ডাক্তার মঈনকে আমি কোনদিন দেখিনি কিন্তু একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হতে বুঝতে পরার পর থেকেই কি অমানুষিক কষ্ট সহ্য করতে হয় সেটা আমি দেখেছি।
মানুষের জীবনে মৃত্যু নির্ধারিত। এ অমোঘ সত্য আমাদের মানতেই হবে। কিন্তু এভাবে চলে যাওয়া কেউ কি আদৌ আশা করে?
কেউ হয়তো বলবেন সে মানবিক কাজ করেছে। ডাক্তার হয়ে রোগী দেখতে সে বাধ্য। তাহলে কি জেনেশুনে সব ডাক্তারকেই এভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব? ডাক্তার মায়েদের বুক খালি করে নিজেরা উল্লাস করব! হ্যাঁ এখনও এমন বিকৃত মানুষ সমাজে কম নেই। কিন্তু আমরা কি সত্যি সত্যি কোভিড ১৯ প্রতিরোধ করতে পারতাম না? আমরা কি সে সময় পাইনি?
আমরা নিয়ম মানতে পারছি না। করোনা ভাইরাসের তথ্য গোপন করে চিকিৎসককে, নিজেকে এবং সর্বোপরি দেশটাকে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছি।
আমরা মানসম্মত পিপিই, ফেস শিল্ড, মাস্ক দিতে গিয়েও তা নিয়ে নানা কান্ড ঘটিয়েছি। একবারও ভাবতে পারিনি এতে আমরা নিজেকেই মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছি। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার এ দৈন্যদশার দায় কি শুধু ডাক্তাররাই বহন করে যাবে!
আমরা কেন এত অসচেতন ছিলাম? এখন আমরা কত লাশে ভারী করব এই বাংলার বুক! জানি না এর উত্তর কি। তবু প্রার্থনা করি এ যেন না হয়। ভগবান সবার মঙ্গল করুক।
ডা. মঈনের আত্মা যেন স্বর্গবাসী হয়।
আপনার মতামত দিন: