Ameen Qudir

Published:
2020-02-19 05:40:41 BdST

ঢাকা বইমেলাআমেরিকা বসে গল্পকবিতা লেখেন একজন:সে সব চুরি করে ঢাকায় বইমেলায় বই বের করেন আরেকজন


ডেস্ক
____________________

প্রবাসে বসে কষ্ট করে সময় বাঁচিয়ে বই লেখেন জাহান রিমা। আর বাংলাদেশে বসে তা চুরি বাংলা একাডেমী বইমেলায় বই বের করেন   আরেকজন।   দিব্যি সে সব নকল লেখা সমৃদ্ধ বই সাজিয়ে স্টলে বসেন। বিক্রি হয়। তিনি ভক্তদের অটোগ্রাফও দিয়ে চলেন। এই চলছিল। অবশেষে পুরো কাহিনি ফাঁস করলেন প্রবাসী জাহান রিমা।
ফ্লোরিডার অরলান্ডো তে বাসকারী
জাহান রিমা এক লেখায় বিস্তারিত জানিয়েছেন। লেখাটি প্রকাশ হল।


প্রবাসী লেখক জাহান রিমা
প্রবাসী জাহান রিমা-------

বিষয়টা খুব সিরিয়াস। এলার্মিং। গতবছরও বিষয়টি সামনে এনেছিলাম। সেটা ছিল আমার লেখা অনুকাব্য সিরিজ দিয়ে ..... হোসেন নামের নিচের এই মেয়ে বই প্রকাশ করেছে কলম প্রকাশনী থেকে। বইয়ের নাম: মেঘেদের উড়ো চিঠি। সংকলন। সেই তখনই একই প্রকাশনী থেকে স্বনামধন্য লেখক সেলিনা হোসেনেরও বই আসে।

মাথায় আমার আগুন ধরে তখনই। মেজাজ উঠে সপ্তরাগে। প্রতিবাদ এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেবার সক্রিয়তা দেখে তারা তৎক্ষণাৎ ‘মেঘেদের উড়ো চিঠি’ নামক বইটি দ্রুত মেলা থেকে সরিয়ে ফেলে। এজন্য এই মেয়ে ক্ষমা চায় আমার কাছে। কলম প্রকাশনীও ক্ষমা চায়; তবে সেই চাওয়ার এভিডেন্স পরবর্তীতে খুব সুন্দর করে মুছে ফেলেন তেনারা। হাহ!

এদিকে আমি আমার প্রতিনিধি মেলায় পাঠিয়েও বইটির একটি কপিও উদ্ধার করতে পারিনি; আইনগত ব্যবস্থা নেবার জন্য। তো সেই তখনই বইমেলা থেকে এই ..... হোসেনের ‘পেনড্রাইভ’ নামের আরেকটা বই নিয়ে আসে আমার এক ভাই। হাসান পাশা তার নাম। এবার বাংলাদেশে গেলে হাসান আমাকে বলেন: ‘’আপনার ওই বই ওরা সরিয়ে ফেলেছে। তাই কী আর করা; ঐ লেখা চুন্নির আরেকটা বই পেলাম সেটাই নিয়ে আসলাম।’’ কথা এটুক পর্যন্ত শেষ হলে কথা ছিল। কিন্তু শেষে এ কী হলো? এই বই খুলে আমি চূড়ান্তভাবে দিশাহীন। রাগে কাঁপছি কেবল।

এই মেয়ের দ্বিতীয় এই বইটিও আমার লেখা দিয়ে শুরু। অর্থাৎ দুইটি বইয়ের কথা জানতে পেরেছি; দুইটি বই-ই আমার লেখা গদ্য-পদ্য দিয়ে করা। প্রথম আলো পত্রিকাসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের লেখা দিয়ে করা। এই মেয়ে বছরের পর বছর বই প্রকাশ করছে সম্পূর্ণ আমার লেখা দিয়ে। যা আমি জানতামই না। .....হোসাইন ২০১৬ থেকে ২০২০ আমার লেখাকে তার লেখা বলে যাচ্ছেন। এমনই দুঃসাহস। এবং সে চুরির লেখা বই লিখে রীতিমত সাহিত্য বোদ্ধা!! সমাদৃত!! তিনি রাফা রাইটার্স ফাউন্ডেশনেরও সদস্য; চুরিকৃত লেখা দিয়ে। এই মহা চোর আমার প্রতিটা একেবারে প্রতিটা লেখা অক্ষরে অক্ষরে চুরি করে। এমনকি ফেইসবুকে দেয়া আমার প্রতিটা মন্তব্যও সে চুরি করে। আরো শুনবেন? এমনকি আমাকে নিয়ে লেখা আমার প্রিয়জনদের ট্যাগ করা লেখাও তিনি নাম বদলে তার প্রিয়জনদের জন্মদিন টন্মদিনে উপহার দেন আরকি! এই তথ্য পাই নিউইয়র্কের স্বনামধন্য একজন জার্নালিস্টের মাধ্যমে; যিনি আমার প্রিয় একজন বন্ধু। এই প্রিয় বন্ধুর আমাকে নিয়ে লিখেছিলেন। এমনকি সেই লেখাটিও তিনি সামান্য নাম বদলে জন্মদিনে শব্দের-উপহার দিয়েছিলেন এক দারুণ পরিচিত পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদককে। হায়!

আমার আসলে কী করা উচিত? আমি বছরের পর বছর লিখেও বই করিনা কেননা পরিশীলন আমার রন্ধ্রে; আর ......... হোসাইন নামের এই মহা চোর সেই সুযোগটাই নিচ্ছে। আগের অপরাধে ছবি দিইনি; কিন্তু এবারে এনাকে বদনখানিসহ পরিচয় তো আমার করিয়ে দিতেই হচ্ছে।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়