Ameen Qudir
Published:2020-02-15 23:57:55 BdST
সাহিত্যের রস আস্বাদন করতে চান? প্রিয় গুচ্ছ বইয়ের সন্ধান দিলেন ডাক্তার সাহিত্যিক
ডা. জোবায়ের আহমেদ
___________________________
সাহিত্যের রস আস্বাদন করতে চান আপনি?
তবে আপনাকে পড়তেই হবে বুদ্ধদেব গুহ এর বই।
আমার বই পাঠের অঙ্গনে তারা এসেছেন নতুন প্রিয়া রুপে।।
হলুদ বসন্ত।
অববাহিকা।
কোজাগর।
একটু উষ্ণতার জন্য।
সবিনয় নিবেদন।
কোয়েলের কাছে।
অন্য চোখে।
অবরোহী।
চাপরাশ।
মাধুকরী।
রিইউনিয়ন।
ঋভু চার পর্ব একত্রে।
দশটি উপন্যাস
১.হলুদ বসন্ত।
২.খেলা যখন।
৩.বিন্যাস।
৪.ওয়াইকিকি।
৫.অন্বেষ।
৬.ভোরের আগে।
৭.সন্ধ্যের পরে।
৮.পূজোর সময়ে।
৯.নগ্ননির্জন।
১০.বাতিঘর।
________________________
জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ডা. জোবায়ের আহমেদ
লেখক ডা. জেবায়েরের একটি লেখা : যেটি শুধু ডাক্তার প্রতিদিন থেকেই পড়েছেন দেড় লাখের বেশী পাঠক । লেখাটি পূণ:প্রকাশ হল।
ভাবীদের আড্ডা থেকে সাবধান/ডাঃ জোবায়ের আহমেদ
_________________________
আজ সকালে একজন বান্ধবী আমাকে ট্যাগ করে একটা পোস্ট দেয়।
তার বাচ্চাটা স্কুলে যাওয়ার সময় সকালবেলা বমি করে।
সেজন্য দুইদিন স্কুলে যেতে পারেনি।
বাংলাদেশের সব সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় কোথায় জানেন??
ভাবীদের আড্ডায়।
স্কুলের সামনে ভাবীদের যে আড্ডা বসে সেখানে।
১০ জন ভাবী আমার বান্ধবী কে ২০ টা পরামর্শ দিয়েছেন।
বাচ্চার বমি করা নিয়ে বিভিন্ন মেডিকেলীয় বিশ্লেষণ করেছেন।
কিন্ত বান্ধবীর আফসোস একজন ভাবীও একজন ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেননি।।
এটাই আমাদের মজ্জাগত দোষ।
আমরা যেই বিষয়ে নূন্যতম জ্ঞান রাখিনা,যেই বিষয়ের বেসিক জানিনা, সেই বিষয়েও বাঙ্গালী তার পান্ডিত্য জাহির থেকে বিরত থাকেনা।
অনেকে এসব পন্ডিতদের পান্ডিত্য শুনে নিজের বারটা বাজায়।
যখন বুঝে তখন ক্ষতি যা হবার তা হয়ে যায়।
স্কুলের সামনে ভাবীদের আড্ডা গুলো কিউটনেসে ভরপুর।
সেই আড্ডায় বাচ্চাদের লেখাপড়া, প্রাইভেট টিউটর,কোচিং,স্কুলের স্যারদের বিভিন্ন রুপ ব্যবচ্ছেদ করা হয়।
এটা আমি পজেটিভলি দেখি।
তবে সেই আড্ডা গুলো থেকে ভাবীরা একধরনের মনস্তাত্বিক চাপ নিয়ে বাসায় ফিরেন যা উনারা নিজ বাচ্চার উপর প্রয়োগ করেন।।
তার পরিনতিতেই আমরা দেখি জে এস সি, এস এস সি পরীক্ষায় এ প্লাস না পাওয়ার দরুণ বাচ্চাদের আত্মহত্যা।।
বাচ্চাদের লেখাপড়া ছাপিয়ে ভাবীদের আড্ডা মুখরিত হয় অন্য ভাবীর হাজবেন্ড ও সংসারের মুখরোচক গল্প দিয়ে।
কোন ভাবীর হাজবেন্ড ফেসবুকে কি পোস্ট দিয়েছেন, কোন ভাবীর হাজবেন্ডের পোস্টে কোন মহিলা কি কমেন্ট করেছেন তাও আলোচনার বিষয়।
এইসব আড্ডায় খুব সূক্ষ্ম ভাবে অনেক ভাবী অন্যের সাজানো সংসারে বিষ ঢুকিয়ে দেন।
স্বামী,দেবর,ননদ ও শাশুড়ি - শ্বশুর নিয়ে তীব্র বিষোদগার করা হয় এইসব আড্ডায়।
এতে একজন সরলপ্রান নারীও পরশ্রীকাতরতায় আক্রান্ত হন।
কিভাবে জামাইকে টাইট দিতে হয়, শাশুড়ীকে টাইট দিতে হয়, দেবর ননদ কে ভাই থেকে আলাদা করা যায় তার ট্রেনিং পাওয়া যায় এখানে।
কিভাবে হাজবেন্ডকে বাবা মা ভাই বোন থেকে দূরে সরানো যায় তার নানা কৌশল নিয়েও বিশদ আলোচনা হয় ভাবীদের আড্ডায়।।
সবচেয়ে মজাদার ব্যাপার, এক ভাবী আরেক ভাবীকে দেখলে হাসি মুখে কথা বলেন, জড়িয়ে ধরেন কিন্ত যাকে জড়িয়ে ধরলেন, তিনি উঠে গেলেই তাকে ব্যবচ্ছেদ করেন নোংরা ভাবে।
সামনে বলেন, ভাবী আপনাকে কি সুন্দর লাগছে।
ভাবী চলে যাওয়ার পর অন্যদের বলেন,দেখেন ভাবীরা কি ক্ষ্যাত এই ভাবী।
কী লিপিস্টিক দিছে দেখেন!
দুই বাচ্চার মায়ের এমন লিপিস্টিক দেয়া বিশ্রী না বলেন?
দেশের রাজনীতি,ওয়াজ মাহফিল,বাজার ও অর্থনীতি,শপিং ও সাজগোজ, বিউটি পার্লার, অনলাইন শপিং সব কিছু নিয়েই আলাপ হয় সেসব আড্ডায়।
স্টার জলসার বিভিন্ন কাহিনি নিয়ে আড্ডা গুলো জমে উঠে।
আমি আমার বোনের বাচ্চাগুলো নিয়ে অনেকবার স্কুলে গিয়েছি।
কখনো দেখলাম না একজন ভাবী নীরবে বসে একটা বই পড়ছেন।
অথচ বই পড়ার একটা চমৎকার জায়গা ও সময় হিসেবে উনারা এটাকে কাজে লাগাতে পারেন।
_______________________
ডাঃ জোবায়ের আহমেদ।
সিওমেক ৪২
সেশন ২০০৩-০৪
আপনার মতামত দিন: