Ameen Qudir
Published:2020-01-04 22:07:23 BdST
একজন ডাক্তার প্রধানমন্ত্রী ৯৪ বছরেও যেভাবে তরতাজা যুবক :রহস্য জানালেন নিজেই
ডেস্ক
________________________
বিশ্বে এই মুহুর্তে চিকিৎসক প্রধানমন্ত্রী দুজন । একজন আমাদের উপমহাদেশের। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। অন্যজন আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি খ্যাত ডা. মাহাথির মোহাম্মদ । একজন অত্যাধুনিক ভুটান তৈরীর মহান কারিগর। অন্যজনকে বলা হয় মালয়েশিয়ার ক্যারিশম্যাটিক লিডার। ডা. মাহাথিরের ক্যারিশমা শুধু তার কাজেই নয়, রয়েছে তার স্বাস্থ্যেও। বয়স ৯৪ বছর হলেও বার্ধক্য তাকে গ্রাস করতে পারেনি। বরং তার কাজে কর্মে এখনও রয়েছে তারুণ্যের ছাপ। গড়ে প্রতিদিন কাজ করছেন ১৮ ঘণ্টা করে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খোলামেলা জানাননিজ সুস্বাস্থ্যের রহস্য সম্পর্কে।
তিনি জানিয়েছেন, কাজের প্রতি ভালোবাসা আর স্বাস্থ্য সচেতনতাই তার সুস্বাস্থ্যের মূল রহস্য।
মাহাথির বলেন, ‘আমি হালকা কিছু ব্যায়াম করি। তবে প্রধানত আমি আমার শরীরের ওজন স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করি।’
মালয়েশিয়ার ক্যারিশম্যাটিক নেতা আরও বলেন, গত ৩০-৪০ বছর ধরেই আমার শরীরের ওজন ৬২ কেজিতে স্থিতিশীল রয়েছে। এটি কখনও বদলায়নি।’
খাবারের ব্যাপারেও মাহাথির বেশ সচেতন। মজাদার খাবারের লোভে কখনো মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া করে না তিনি। এ ব্যাপারে মাহাথির বলেন, ‘আমি খুব একটা খাওয়া দাওয়া করি না। খুব সুস্বাদু খাবার হলেও আমি খাই না। আমি মাত্রাতিরিক্ত খাবার থেকেও বিরত থাকি।’
এসব কারণেই মাহাথির এই বয়সেও তারুণ্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন, গড়ে প্রতিদিন কাজ করছেন ১৮ ঘণ্টা করে।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ। ২০০৩ সালে তিনি অবসরে যাওয়ার পর ২০১৮ সালে আবারও রাজনীতিতে ফিরে আসেন। গত বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মাহাথির ‘পাকাতান হারাপান’ জোটের প্রধান হিসেবে নির্বাচনে জয় লাভ করে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
সংবাদ সূত্র কলকাতা মিডিয়া।
আপনার মতামত দিন: