Ameen Qudir

Published:
2019-11-30 21:08:21 BdST

পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে খুন, উপমহাদেশ জুড়ে প্রতিক্রিয়া, তোলপাড়


 

ডেস্ক

ফের নির্ভয়াকাণ্ডের ছায়া। এবার ঘটনাস্থল তেলেঙ্গানার সাধনগর। পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে ভারতবর্ষসহ উপমহাদেশ জুড়ে শুরু হয়েছে জোর প্রতিক্রিয়া, তোলপাড়, শোরগোল। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব সবমহল। খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির বন্দোবস্ত করা হবে বলেই আশ্বাস পুলিশের। এই ভয়াবহ বর্বরতার সঙ্গে জড়িত ৪জনের নাম জানা গেছে। এরা হল, মহম্মদ, নভীন, কেশব এবং শিবা।

বছর ছাব্বিশের নির্যাতিতা ওই তরুণী তেলেঙ্গানার সাধনগরের এক পশু হাসপাতালের চিকিৎসক। অন্যান্য দিনের মতো গত বুধবার রাতে হাসপাতাল থেকে নিজে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সামশাবাদের কাছে রাস্তার মাঝেই স্কুটির চাকা ফেটে যায় তাঁর। কীভাবে বাড়ি ফিরবেন কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না ওই তরুণী। ইতিমধ্যেই ওই চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর বোনের কথা হয়। সে ফোনে জানায় স্কুটির চাকা ফেটে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে সামান্য দেরি হচ্ছে। তখন রাত ৯টা ১৫ হবে। চিকিৎসককে তাঁর বোন বলেন, টোলপ্লাজার কাছে গিয়ে দাঁড়াতে। সেখানেই হয়তো সাহায্য পেতে পারেন। তবে ফোনে ওই তরুণী তাঁকে জানিয়েছিলেন সেখানে জড়ো হয়ে রয়েছে প্রচুর অপরিচিত ব্যক্তি। তাই বেশিক্ষণ দাঁড়াতে ভয় লাগছে। ওই শেষবার। এরপর যতবারই ফোন করেছেন তাঁর নম্বর সুইচড অফ ছিল। তরুণীর সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করতে পারেননি তাঁর পরিজনেরা। এভাবেই বুধবার রাত কাটে পশু চিকিৎসকের পরিবারের।
তার পরেরদিন পুলিশের তরফে ওই পশু চিকিৎসকের পরিজনের কাছে ফোন আসে। একটি দেহ শনাক্ত করতে ডাকা হয় তাঁদের। সেখানে গিয়ে তরুণীর গলার হারের লকেট দেখে পশু চিকিৎসকের দেহ শনাক্ত করেন পরিজনেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, সাধনগর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি ব্রিজের নিচে তরুণীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়।
সামশাবাদের ডিসিপি প্রকাশ রেড্ডি বলেন, “ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্যই কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারা হয়েছে ওই তরুণীকে।” ইতিমধ্যেই দশ সদস্যের একটি দল গঠন করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ওই পশু চিকিৎসকের স্কুটির কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। সেটি পেলে ঘটনার কিনারা করা আরও সহজ হবে বলেই আশাবাদী তদন্তকারীরা। এই ঘটনার পর থেকে শোকে কাতর নিহতের পরিজনেরা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্তকে পাকড়াও করে তাঁর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানিয়েছেন নিহতের বাবা।

অধ্যাপক ডা. আনির্বাণ বিশ্বাস প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি ধর্ষিত ও নিহত ডঃ প্রিয়াঙ্কার আত্মার শান্তি কামনা করি না। আমি এই পচে যাওয়া সমাজ,আইন-বিচার ব্যবস্থা,রাজনীতির দ্রুত মৃত্যু চাই।
ডা. সুনির্মল বসু বলেন, ধর্ষকের কোন ধর্ম নেই। অপরাধে, ধর্ষণে , লুটে , যুদ্ধের বিভৎসতার উল্লাসে সকল ধর্মের অপরাধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়। তথ্য সৌজন্য : সংবাদ প্রতিদিন

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়