Ameen Qudir
Published:2019-09-08 20:40:59 BdST
অকালে চলে গেলেন চাঁদপুর বিএমএ সভাপতি ডা. একিউ রুহুল আমিন
ডেস্ক
______________________
অকাল প্রয়াত হলেন চাঁদপুর বিএমএ সভাপতি ডা. একিউ রুহুল আমিন । শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটে সাভারের আমিনবাজারে নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান।
তাঁর প্রয়াণে ডাক্তার প্রতিদিন সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিদ্যার জ্যেষ্ঠ সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগিন গভীর শোক জানান এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। শোকার্ত স্বজনদের প্রতি শোকবার্তায় তিনি লেখেন, এভাবে অসময়ে মাত্র ৬৫ বছর বয়েসে ডা. রুহুল আমিন ভাইয়ের চলে যাওয়ার কথা ছিল না। তিনি একজন মানবপ্রেমী ভাল মানুষ ছিলেন। বিএমএ নেতা হিসেবে চিকিৎসকদের সুখ দু:খে সর্বদা পাশে ছিলেন। রোগীদের তিনি স্বজনদের মত ভালবাসতেন। দায়িত্বের সঙ্গে রোগীসেবা সহ সকল দায়িত্ব পালন করতেন। ডাক্তার প্রতিদিন পত্রিকার তিনি একান্ত স্বজন ও শুভাণূধ্যায়ী ছিলেন। সর্বদা খোঁজখবর নিতেন। তাঁর প্রয়াণে আমরা একজন আলোর মশাল ব্যাক্তিত্বকে হারালাম।
মৃত্যকালে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৬৫ বছর। ডা. একিউ রুহুল আমিন স্ত্রী, ছেলে ও তিন কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি চাঁদপুর গনি মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৭৮ সালে এমবিবিএস পাস করেন।
শনিবার সকাল ৯টায় চাঁদপুরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা হয়। পরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের কাজীপাগলা গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা হয়। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।
সদা হাস্যোজ্জ্বল এবং সদালাপি ডা. রুহুল আমিন ছিলেন চাঁদপুরের বিশিষ্ঠ চিকিৎসক ও সংগঠক।
চাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতি, মাজহারুল হক বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল, চাঁদপুর রেডক্রিসেন্ট ও উদয়ন স্কুলসহ বহু সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ডা. একিউ রুহুল আমিন।
তাঁর মৃত্যুতে চাঁদপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মাজহারুল হক বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদ, আজীবন সদস্য এবং হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শোক জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ শোকাহত পরিবারের প্রতি তারা জানিয়েছেন গভীর সমবেদনা।
আপনার মতামত দিন: