Ameen Qudir

Published:
2019-09-02 03:24:03 BdST

নারীর শাড়ি নিয়ে সায়ীদ স্যারের লেখা : ডাক্তার ও ডক্টরদের অনলাইন মহাযুদ্ধ



ডেস্ক
______________________

শাড়ির টানে,শাড়ির প্রাণে!! নারীর পরিধেয় শাড়ি নিয়ে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের এক লেখা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনলাইন মহাযুদ্ধ চলছে । দুপক্ষেই লেখা হচ্ছে ভারি ভারি লেখা। ডাক্তাররা লিখেচেন। ডক্টররাও লিখছেন প্রতিজবাব।
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিকিৎসক শিক্ষক ডা. সেজান মাহমুদ এক প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন,
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার, আপনি প্রায়ই আমাদের বলতেন ছাত্রছাত্রীরা যখন শিক্ষককে ছাড়িয়ে যায় তখন আপনার সবচেয়ে আনন্দ।
স্যার আপনাকে সম্মান করি, ভালবাসি।

কিন্তু আপনার সৌন্দর্য্যের নন্দনতত্ত্ব, নারী বিষয়ক ধ্যানধারনা এতো পুরনো হয়ে গেছে যে আপনি ৫০ বছর পেছনের ভাষা, উপমা, নান্দনিক দিক বলতে গিয়ে একেবারে সর্বনাশ করে ফেলছেন। আপনাকে আমরা অনেকেই এখন ঠিক এইখানটায় মেনে নিতে পারছি না। আপনি আধুনিক কোন তত্ত্বই আর পড়ছেন না। প্লিজ ক্ষমা করবেন। আপনার এই লেখা আপনাকেই থামিয়ে দিচ্ছে!!
শাড়ি পরা কমে যাচ্ছে আবার শাড়ি অন্য আঙ্গিকে আসছে সে নিয়ে দ্বিমত নেই। দ্বিমত হলো নারী, সৌন্দর্য ও নারীর শরীর নিয়ে আপনার মনোভঙ্গী একেবারেই সেকেলে! বিশ্রাম নিন স্যার!

সঙ্গীত শিল্পী রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল লিখেছেন

সকালে একবার পড়েছিলাম। দুপুরে আরেকবার। কাজের ভেতর পড়েছি বলে মনে হলো সঠিক মনোযোগ দিতে পারিনি।
তাই এখন ঠান্ডা মাথায় পড়লাম।

অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ এর 'শাড়ি' লেখাটি নিয়ে এত আপত্তির কোন কারণ খুঁজে পেলাম না৷

সবার ছি ছিক্কার দেখে মনে হচ্ছে যৌনতা বা নারী শরীরের যৌনাবেদন ও রূপ মাধুর্য নিয়ে কথা বলাটা খুব অন্যায় হয়েছে। এমন না যে বাংলা সাহিত্যে এরকম কামগন্ধী লেখা আর নেই। আলমাহমুদের দুয়েকটা গল্পের কাছে এটা নেহাতই শিশু। সৈয়দ হক, হুমায়ুন আজাদ বাদই দিলাম। গুনের কবিতাও বাদ।

এমনকি যারা প্রতিদিনই অন্তত একটি করে অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস লিখে তারাও দেখলাম অধ্যাপক সায়ীদকে গালি দিয়েছে। কারণটি রহস্যময়। শাড়ির মতই রহস্যময়।

যৌনতা নিয়ে বাঙালির 'গেল গেল' আচরণ অবশ্য বহু পুরনো।
অথচ আশ্চর্যের ব্যপার হলো এদেশের জনসংখ্যা বিশ কোটি। যৌনতা নিয়ে যাদের এত 'নৈব নৈব চ' তারা এত মানুষ জন্ম দিলো কিভাবে? বায়ু পরাগায়নের মাধ্যমে ?

_____________________________________________

 

যেখানে মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল বিশাল স্থাপনা। 
এখানে সঠিক দামে এপার্টমেন্ট বিক্রি হচ্ছে। ADEPT JAHAN 
১৪ নম্বর রোডে। ৪ কাঠার ওপরে নির্মিত বাড়ি । গ্রাউন্ড +৮ । প্রায় রেডি বাড়ির ল্যান্ড লর্ড তার অংশের ফ্লাট বিক্রি করবেন। 
তিন বেড , ড্রইং ডাইনিং ও অন্যান্য সুবিধা। বিস্তারিত যোগ: :01713430902

 

বিজ্ঞাপণ : সকল যোগ :01713430902

______________________________________________

 

 

আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের পক্ষে ডক্টরের ভাষ্য
___________
ড. মোহাম্মদ শামীমুজ্জামান ,সভাপতি, বাংলা বিভাগ, বিকেএসপি
বাংলায় অনার্স,মাস্টার্স,পিএইচডি
১৮ব্যাচ(৮৮-৮৯) জাবি লিখেছেন তাঁর ভাষ্য। তিনি লিখেছেন,
#শাড়ির টানে
শাড়ির প্রাণে!!

প্রথম আলোর সাহিত্যের পাতা অন্য আলোতে প্রকাশিত আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের #শাড়ী লেখাটি পড়েছি (৩০ আগস্ট শুক্রবার)।স্যার শুরু করেছেন এভাবে:'শাড়ি পৃথিবীরর সবচাইতে যৌনাবেদন পূর্ণ অথচ শালীন পোশাক'---লেখাটি না বুঝেই অনেকে মার মার কাট করছেন ; ভাবখানা
এ রকম "সমাজ- সভ্যতা- সাহিত্য গেল গেল"।অনেকে অশ্লীল ভাষায় সায়ীদ স্যারকে আক্রমণ
করেছেন দেখছি।কেউ কেউ তলোয়ার নিয়েও আক্রোশ দেখাচ্ছে। ভাষাতেও মার্জিত হতে হয় এই বোধটি অনেকের আসেনি আজো।সাহিত্যের আড্ডায় আপনি অনুপ্রবেশকারী! নন্দনতত্ত্ব জানা নেই?

যারা শাড়ি পরা ছেড়ে দিয়েছেন তারাই বেশি আক্রোশ দেখিয়েছেন।বাংলা-হিন্দিফিল্মে নায়িকাকে ভিজিয়েছে এবং সেক্সসিম্বল বানিয়েছেন যারা তারা দেখি রাজাধিরাজ হয়ে বেচে আছেন।পুঁজিবাদের কাছে নারী পরাজিত হয়েছে বার বার।পাশ্চাত্য কালচারের আগ্রাসী চেতনার কাছেও হেরে গেছে বাংলার নারী।

কর্পোরেট কালচার পিষে মারছে এবংশোষণ
করছে নারীকে।সব ভুলে যাচ্ছি?এতপ্রতিবাদ কোথায় লুকিয়ে ছিল! মধ্যযুগের পদাবলীতে রাধার ভেজা শাড়ী নিয়ে কত ছত্র আছে! মুছে ফেলার ক্ষমতা আছে কারোর? শকুন্তলাকে কালিদাস গাছের ছাল- বাকল পরিয়েছেন। আপনি জোর করে হিজাব পরিয়ে দেবেন? আলাওল পদ্মাবতীর রূপের বর্ণনা দিয়েছেন।সেগুলো ভয়ংকর রগরগে।জীবনে অনেকে পড়েননি,এত পড়ালেখার সুযোগ
হয়নি অনেকের। রবীন্দ্রনাথ শাড়ি পরা নারীর প্রশংসা সূচক ছত্র লিখেছেন। নারী জাতি মারা গেছে?
সায়ীদ স্যার সাহিত্যের পাতায় শাড়ি নিয়ে লিখেছেন,প্রকাশ করেছেন নিজস্ব দর্শন।নন্দনতত্ত্ব অনুযায়ী শাড়ির মাহাত্ম্যকথা লিখেছেন শাড়ী অনুরাগীর বেশে,একটু হেসে রস দিয়ে।আলোকিত মানুষ এত সস্তা নয়।
সায়ীদ স্যারের লেখাটি বিশ্লেষণ করে দু' কলম লিখুন।আংশিকভাবে পড়ে উদ্ভট আলোচনা শেষে কতল করার জেহাদি জোশ দেখাচ্ছেন অনেকে।নারীকে প্রতিনিয়ত যারা অসম্মান করছেন তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। নারী হয়ে কাপুরুষের মতো বাড়তি সুযোগ নিচ্ছেন যারা তারাও প্রলাপ বকছেন।

সায়ীদ স্যারের জন্য শাড়ি পরা ছেড়ে দেবেন? পোশাক আপনার। পুরুষগণ কে কি বললো তাতে কি এসে যায়? আবহমান বাংলার নারীর ধ্রুপদী পোশাক শাড়ি। দয়া করে অহেতুক জিন্স,প্যান্ট পরে অশালীন ও হাসির পাত্র হবেন না।দেশি সুতীর শাড়ি পরুন।

যদি সায়ীদ স্যারের চাইতে বড় কিছু হোন বা ভাবেন সেটা নিয়েও পালটা প্রবন্ধ লিখুন।লিখে দেখান।যারা এই আলোর ফেরিওয়ালা র প্রতি অন্ধকার থেকে ঢিল ছুড়ছেন তাদের প্রতি
করুণা হচ্ছে।পত্রিকার সম্পাদক আপনার প্রতিক্রিয়া ছাপাবে।ফেসবুকে জংগী স্টাইলে যে সব নারী অতিপ্রগতিশীল/অতিধার্মিক সাজছেন তাদের বলি আপনার নিজের পোশাক শাড়ি! শাড়িকে ভালবাসুন,প্রাচ্যের মেয়েদের শাড়িরতেই মানায়।বাংলা নববর্ষে শুধু নয় সারাবছর মার্জিত দেশি শাড়ি পরুন।

স্যারতো শাড়ির প্রেমে মজে শাড়ির
কীর্তন গেয়েছেন।আমাদের মেয়েরা শাড়িকে ঝেটিয়ে বিদায় দিয়েছেন বলেই আক্ষেপ
করেছেন।দয়া করে লেখাটি পড়ুন আরো ১০ বার।
শাড়ি তোমায় সালাম, যুগ যুগ ধরে টিকে থাকো এই বাংলায়।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়