Ameen Qudir
Published:2018-12-21 23:12:51 BdST
সচেতন হোন, বাঁচুন বলবর্ধক ওষুধ খাইয়ে মা ও ছেলেকে মেরেই ফেলল এক জামাই কবিরাজ
ডেস্ক
____________________
বলবর্ধক ওষুধ খাইয়ে মা ও ছেলেকে মেরেই ফেলল এক কবিরাজ। বুধবার বিকেলে রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরসভার শংকরপুর গ্রামের এ ঘটনায় সেখানে শোকাবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আরও দুইজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত কবিরাজকে আটক করেছে।
এই ভয়ঙ্কর কবিরাজি চিকিৎসা বাংলাদেশের নানা স্থানে জনপ্রিয়। এই চিকিৎসা আত্মহত্যার শামিল হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে নেই সচেতনতা। নেই প্রশাসনিক কঠোর ব্যবস্থা। এই কবিরাজিসহ নানা অপচিকিৎসা ও হাতুড়ে চিকিৎসায় মাঝেমধ্যেই মানুষ মারা যাচ্ছে।
মৃত্যুবরণ কারীরা হলেন কছিরন নেছা (৭২) ও তাঁর ছেলে আবদুস সালাম (৪২)। অসুস্থ দুজন হলেন মৃত কছিরনের আরেক ছেলে নুর হোসেন (৪৫) ও নাতবউ নুরজাহান বেগম (৩৫)। আটক কবিরাজের নাম মজিবর রহমান (৭০)। তিনি মারা যাওয়া বৃদ্ধার জামাতা।
স্বজনদের দাবি, নুরজাহান বেগম শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় কবিরাজ মজিবর রহমানকে ডেকে আনেন। অপচিকিৎসক কবিরাজ রোগীকে বলবর্ধক ওষুধ দিলে সে ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান।
প্রতিবেশীরা জানান, সকাল ১০ টার দিকে ওই কবিরাজ গাভির দুধের সঙ্গে ইসবগুলসহ অন্তত ৩০ ধরনের দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করেন। এরপর সেই বড়ি খালি পেটে নুরজাহানকে খাওয়ান। শক্তি বাড়ার আশায় ওই ওষুধ একই সঙ্গে কছিরন এবং তাঁর ছেলে আবদুস সালাম ও নুর হোসেন সেবন করেন।
প্রতিবেশী রেশমা খাতুন বলেন, ওই কবিরাজি ওষুধ দেহের শক্তিবর্ধনের জন্য খাওয়ানো হয়েছিল। বড়ি খাওয়ার পর দুপুরের দিকে ওই চারজনের মাথাব্যথা শুরু হয়। এর পরে শরীর থেকে ঘাম ঝরতে থাকে। একপর্যায়ে চারজনকে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে কছিরন নেছা ও আবদুস সালাম মারা যান। অপর দুজনকে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোস্তারি জাহান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই মা-ছেলে মারা গেছেন। তাঁরা কবিরাজি ওষুধ খেয়েছিলেন বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। এতে হয়তো বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল।
বদরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, লাশ থানায় নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত কবিরাজকে আটক করা হয়েছে।
আপনার মতামত দিন: