Ameen Qudir

Published:
2018-12-04 08:40:06 BdST

প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল বাবাকে অপমান করায় ভিকারুননিসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা


 



বাবা দিলীপ অধিকারীর সঙ্গে অরিত্রি অধিকারী। ছবি:সংগৃহীত

ডেস্ক
_________________________


ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ছাত্রী পরীক্ষায় খারাপ করায়, তার সামনেই বাবাকে ডেকে অপমান করে শিক্ষক। এই ঘটনায় অভিমান করে শিক্ষার্থী আত্নহত্যা করেছে।

জানা যায়, অরিত্রি অধিকারী ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সিদ্ধেশ্বরী শাখর নবম শ্রেণির ছাত্রী। পরীক্ষার হলে মোবাইলসহ ধরা পড়ে। মোবাইল পাওয়ায় তাকে দুই দিন পরীক্ষা দিতে দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপর সোমবার অরিত্রির বাবা দিলিপ অধিকারী স্কুলে যান, এসময় প্রিন্সিপাল বাবাকে মেয়ের সামনে অকথ্য ভাষায় নানা বিষয় নিয়ে অপমান করে। সবার সামনে অরিত্রির বাবা কেঁদে ফেলে। পরে অরিত্রি বাসায় গিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে।

পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করতে ঢাকা মেডিকেলে হাসপাতালে পাঠায়।


ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে।

অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী বলেন, তাঁর মেয়ের পরীক্ষা চলছে। গত রোববার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রির কাছে মোবাইল ফোন পায়। মোবাইলে নকল করছে—এমন অভিযোগে অরিত্রিকে সোমবার তার বাবা-মাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়।

দিলীপ অধিকারী অভিযোগ করেন, আজ তিনি স্ত্রী ও অরিত্রিকে নিয়ে স্কুলে যান। তার ছোট মেয়েও একই স্কুলে পড়ে। তাঁরা প্রথমে ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে যান। কিন্তু ভাইস প্রিন্সিপাল তাঁদের ‘অপমান’ করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। আগামীকাল মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতেও বলা হয়। দিলীপ অধিকারী বলেন, এরপর তিনি প্রিন্সিপালের কক্ষে যান। যেখানে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্যও ছিলেন। প্রিন্সিপালও ভাইস প্রিন্সিপালের মতো আচরণ করেন।

দিলীপ অধিকারী বলেন, এ সময় অরিত্রি দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে স্ত্রীসহ তিনি বাড়ি গিয়ে দেখেন অরিত্রি তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। অরিত্রিকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেন তাঁরা। পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।

ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়েছে। তার গলায় দাগ ছিল। তার ‘নেক টিস্যু’ সংগ্রহ করা হয়েছে, তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

এদিকে অরিত্রির মৃত্যুর সংবাদ শুনে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান ভিকারুননিসার প্রিন্সিপাল নাসরিন ফেরদৌস। সেখানে তিনি অরিত্রির স্বজনদের তোপের মুখে পড়েন। এ সময় তাঁরা প্রিন্সিপালের গাড়ি ঘিরে রাখেন। কিছুক্ষণ পর তিনি দ্রুত হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়