Ameen Qudir
Published:2018-07-17 17:29:32 BdST
ডা. মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ব্যাক্তি বিশেষের নৈতিক স্খলনের অভিযোগ
ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ
______________________________
মাকামে মাহমুদ।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৫১তম ব্যাচ থেকে সদ্য পাশ করা একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর।
রুগির সহকারীনীকে ধর্ষণের অভিযোগ।
অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
আমার চিকিৎসক সহকর্মীদের কাছে বিনীত অনুরোধ অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ার আগে তার পক্ষে কোনরকম স্ট্যাণ্ড নিবেন না।
প্রশ্ন আসতে পারে,
অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ার আগেই তাকে কেন পুলিশে সোপর্দ করা হলো ?
এই ধরনের প্রশ্ন যারা করবেন তারা নিজের পেশার প্রতিই কুঠারাঘাত করবেন এই সত্যটা যেন মাথায় রাখেন।
কারন-
০১.
প্রাথমিক কিছু সত্যতা মিলেছে বলেই তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। সুতরাং এটাকে ডিফেণ্ড করতে গেলেই একজন চিকিৎসক হিসেবে আপনার নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
০২.
মনে রাখবেন এটা কোন ভুল চিকিৎসার মিথ্যা অভিযোগ নয়, এটা একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তার ব্যাক্তিগত নৈতিক স্খলনের অভিযোগ।
সুতরাং এখানে ঐ চিকিৎসকের পক্ষ নেওয়া চিকিৎসা পেশাকে ধুলোয় লুটানোর শামিল।
বিপরীতদিকে অচিকৎসক বন্ধুদের প্রতিও আহ্বান তারা যেন এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার দায় সমস্ত চিকিৎসকের উপর এবং চিকিৎসা পেশার উপর চাপানোর চেষ্টা না করেন।
কারন-
০১.
এটা রুগির চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন ব্যাপার না।
০২.
এটা শুধুমাত্র ঐ চিকিৎসকের একান্ত ব্যাক্তিগত নৈতিক স্খলনের ব্যাপার।
অন্য চিকিৎসক বা চিকিৎসা পেশা কোনভাবেই এর সাথে জড়িত নয়।
_____________________________

ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ
সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ;স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক;চিকিৎসক পরিষদ, বিএসএমএমইউ।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ,দিনাজপুর।
আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       