Ameen Qudir

Published:
2018-06-15 19:28:47 BdST

চিকিৎসককে গাছে বেঁধে স্ত্রী ও মেয়েকে গণধর্ষণ বিহারে


 



প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা

__________________________

মর্মান্তিক। নৃশংস। ভয়াবহ।

রোগী দেখা শেষে চেম্বার থেকে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে স্ত্রী ও ১৫ বছরের মেয়ে। রাস্তার মাঝেই থামিয়ে দেওয়া হল মোটরসাইকেল। তারপর গাছে বেঁধে ফেলা হল চিকিৎসককে। চলল লুঠপাট। এরপর চিকিৎসকের সামনেই গণধর্ষণ করা হল তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের গয়ায় একটি জাতীয় সড়কে।

কুঞ্চ পুলিশ ফাঁড়ির আওতায় সোনডিহা গ্রামের কাছেই চিকিৎসকের মোটরসাইকেল থামিয়ে দেয় একদল দুষ্কৃতী। চিকিৎসককে একটি গাছে বেঁধে রেখে তাঁর সামনেই একাধিক ব্যক্তি শারীরিক অত্যাচার চালায় তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের উপরে। বুধবার সন্ধ্যার ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার। ঘটনায় ২০ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে কুঞ্চ পুলিশ ফাঁড়ির এসএইচও রাজীব রঞ্জনকে।

নিগৃহীতা মহিলা সংবাদ সংস্থাকে জানান, ‘‘আমাদের কাছে যা নগদ টাকা-পয়সা, গয়না ছিল সবই দিয়ে দিয়েছিলাম দুষ্কৃতীদের। কিন্তু এতেও ওরা থেমে থাকেনি। পাশেই একটা কৃষিজমিতে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আমাকে আর আমার মেয়েকে। এরপরই দু’জনকে শারীরিক নিগ্রহ করে একাধিক ব্যক্তি।’’


চিকিৎসকের কথায়, ‘‘পুলিশকে ঘটনার কথা জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ওরা চলে যাওয়ার পর নিজের মোবাইল থেকে ফোন করে পুলিশে খবর দিই আমি। রোগী দেখে ফিরছিলাম। তখনই এই ঘটনা ঘটে।’’

ওইদিন চিকিৎসকের ফোন পেয়ে গয়ার এসএসপি রাজীব মিশ্র ও শেরঘাটির এসডিপিও মনীশ কুমার ঘটনাস্থলে পৌঁছন। অ্যাম্বুল্যান্সে খবর দেওয়া হয়। এরপর গয়ার অনুগ্রহ নারায়ণমগধ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয় নিগৃহীতাদের। এসএসপি সংবাদ সংস্থাকে জানান, সোনডিহা ও নিকটবর্তী গ্রামগুলিতে তল্লাশি চলছে। পটনা জোনের আইজিপি নাইয়ার হাসনাইন খান জানান, অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হবে খুব তাড়াতাড়িই।


সৌজন্য আনন্দ বাজার পত্রিকা

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়