Ameen Qudir

Published:
2018-06-08 18:43:41 BdST

পিরোজপুেরের সেই ডাক্তার ফ্লাটবাড়ির মালামাল লুট


 

দৈনিক প্রথম আলোর খবর। পিরোজপুেরের ডা. বিজয় কৃষ্ণ হালদারের হয়রানির শেষ নেই।

প্রতিনিধি, পিরোজপুর
_________________________

পিরোজপুরের সেই চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের বাড়ির মালামাল লুট হয়েছে। এ ঘটনায় একটি চুরির মামলা হয়েছে। পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।

পিরোজপুর শহরের বাইপাস সড়কের মাছিমপুর এলাকার সার্জিকেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পঞ্চম তলায় বিজয় কৃষ্ণ হালদারের স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক গীতা রানী মজুমদার ও তাঁর কলেজপড়ুয়া মেয়ে থাকেন। গত বুধবার রাতে গীতা রানী মজুমদার বাদী হয়ে ক্লিনিক ও ওই বাড়ির একাংশের মালিক ওবায়দুল হককে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে স্থানীয় থানায় মামলা করেন। মামলার পর ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক পুলক দাসসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ মে গীতা রানী মজুমদার মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় যান। বুধবার বিকেলে তিনি বাড়িতে গিয়ে তালা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখেন ঘরের আসবাব, জামাকাপড় ও ঘরে রাখা ৫০ হাজার টাকা নেই। খবর পেয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়, দরজার আংটা ভেঙে ঘরের মধ্যে থাকা মালামাল লুট করে নেওয়া হয়েছে। রাতেই গীতা রানী মজুমদার বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় মামলা করেন।

গীতা রানী মজুমদার বলেন, ঘরের তালা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখি আসবাব, জামাকাপড়, টাকা কিছুই নেই। পরে পুলিশ এসে দেখে, দরজার আংটা ভেঙে চোরেরা ভেতরে ঢোকে। পরে ভাঙা আংটা ঝালাই করে রং করে দেয়। তাঁর অভিযোগ, ক্লিনিকের একাংশের মালিক ওবায়দুল হক ও ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক পুলক দাস লোকজন নিয়ে এ কাজ করেছেন।

জানতে চাইলে ক্লিনিকের একাংশের মালিক ওবায়দুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় আছি। চুরির ঘটনা সাজিয়ে আমাকে ও আমার ক্লিনিকের কর্মচারীদের হয়রানি করা হচ্ছে।’

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক বলেন, ২৪ মের পর কোনো এক দিন এ ঘটনা ঘটেছে। মামলার এজাহারভুক্ত আট আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ২৭ মে প্রথম আলোয় ‘অমানবিক, অবিশ্বাস্য!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গীতা রানী মজুমদারের স্বামী চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের সঙ্গে মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ক্লিনিকের অর্ধেকের মালিক পিরোজপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল হক পুরো বাড়িটি দখল করতে চাচ্ছেন। ক্লিনিকের পাঁচতলায় বসবাস করা গীতা রানীর পরিবারকে নয় মাস ধরে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন ওবায়দুল হক। বাসায় রান্নার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার নিতে বাধা দেওয়া হয়।

সৌজন্যে প্রথম আলো।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়