Ameen Qudir
Published:2018-06-01 18:31:28 BdST
শুক্রবারের বিশেষ লেখাআম চ্যাটার্জি, আপেল মুখুজ্যে,কলা ব্যানার্জী,লিচু মন্ডল:অথ ফল সমাচার
অধ্যাপক ডা. অনির্বাণ বিশ্বাস
__________________________
আম চ্যাটার্জি,লিচু মন্ডল,কাঁঠাল চক্কোত্তি,জাম ভটচিরিয়া,জামরুল সোরেন,আনারস রায়,আপেল মুখুজ্যে,কলা ব্যানার্জী,কমলা বাড়ুই….প্রভৃতি ফল-ফলাদি একদা একত্রিত হইয়া গুলতানি মারিতেছিল ও পরস্পরের খিল্লি করিতেছিল।
চাটুজ্যে সবাইকে চাটিতে ছিল।সে রাজা কিনা।সবার দিকে একবার অনুকম্পার দৃষ্টি দিয়া লিচু মন্ডলকে ধরিল “ইস্! মন্ডলের থোবরা দেখ সবাই!ইস্!কেমন চুপসাইয়া আছে !ও আরও বড় ও নধর হইলে ঠিক চক্কোত্তির মত দেখিতে হইত !কেমন জাতে উঠিত !”
সব্বাই হোঁয়া হোঁয়া করিয়া হাসিল।আম চ্যাটার্জি রাজা বলিয়া কথা ! রাজার কথায় আমোদ না নিলে হয়! কাঁঠাল চক্কোত্তির ভারী রস হইল।সে ইন্ধন যোগাইল “লিচু মন্ডলকে হর্মোন থেরাপি করিলে উহা আমার মত রসবতী হইবেক”।ফলা ফলাদির মধ্যে উল্লাসের বান বহিল।চারিদিকে ‘খ্যাঁক খ্যাঁক’ ‘হুক হুক’এর মাঝে লিচু মন্ডল মুখ লাল করিয়া বসিয়া রহিল।
আঙুর সাহা লিচুর এরুপ লাঞ্ছনায় আর চুপ করিয়া থাকিতে পারিল না।বলিল “দর্পনে নিজদিগকে দেখ।কাঠাল চক্কোত্তির নূতন উত্তরন হইয়াছে,সবাই জান।এখন উহাকে সবার পশ্চাতে ঢুকানো হয়।বাঁশ দত্তের সে জমানা নাই।ইহা আমা অপেক্ষা কলা ব্যানার্জী বিস্তারিত জানেন “
কলা ব্যানার্জী বাম হাতের মোবাইলে চশমা চোখে কি যেন দেখিতেছিলেন।ওনার নাম চারিদিকে গুঞ্জরিত হইতেছে,সবাই ওনার দিকে তাকাইয়া আছে,ইহা বুঝিয়া উনি খুবই খুশি হইলেন…আসলে উনি এমনটাই চান।উনি হাত তুলিয়া সবাইকে অভিবাদন জানাইলেন,কহিলেন “জাম ভটচিরিয়া,জামরুল সোরেন,আনারস রায়,আপেল মুখুজ্যে,কমলা বাড়ুই… সব্বাই একসাথে।একটি ফেডারেল ফ্রন্ট এর স্ট্রাকচার যেন…”
লিচু মন্ডলের এত তত্ত্বে মনের জ্বালা মিটিল না।গজগজ করিতে করিতে বলিয়াই ফেলিল..
“ব্যানার্জীর ঢপবাজি ,চক্কোত্তির আঠা
মুখুজ্জ্যে দাঁত কেলানি,চট্ট হারামজাদা”
ইহা শুনিবা মাত্র চারিদিকে তীব্র কোলাহল শুরু হইল।ঠিক যেন ভুষুন্ডির মাঠ।প্রবল চিৎকারের মাঝে শোনা গেল “এই স্ক্রিপ্ট নির্ঘাত ইক্ষু বিশ্বাসের…কোথায় শালা ?” ইত্যাদি ইত্যাদি..
________________________

আপনার মতামত দিন: