Ameen Qudir
Published:2019-10-16 22:08:16 BdST
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা: প্রথম অমিয়, তৌফিকা দ্বিতীয়
ডেস্ক
________________________________
এ বছর এমবিবিএস প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থানটি এক ছাত্র অধিকার করলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় হলেন ছাত্রী। জাতীয় মেধায় সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিরোপা ভাগ করে নিয়েছে। কারও একাধিপত্য নেই। 
প্রথম স্থান অর্জন করেছেন রাগীব নূর অমিয়। তার টেস্ট স্কোর ৯০.৫০। তিনি রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এর আগে তিনি পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা করেছেন। 
রংপুরের ছেলে রাগীব নূর অমিয় বাবা মফিজুল ইসলাম ও মা আঞ্জুমান আরা চৌধুরী। দুজনই চাকরি করেন। 
মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন সাতক্ষীরার তৌফিকা রহমান। তিনি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৮৯। 
১৫ অক্টোবর এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। 
তৃতীয় হয়েছেন সুইটি সাদেক। তিনি রাজধানীর ডেমরার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম সাদেক আলী ও মায়ের নাম খালেদা সাদেক । 
চতুর্থ স্থান   রাজধানীর হলিক্রস কলেজের শিক্ষার্থী তাসফিয়া মাসুমা রহমান।
পঞ্চম  নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী রাফসান রহমান খান।
ষষ্ঠ স্থান  রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাফিস ফুয়াদ নিবির।
সপ্তম স্থান   নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নিয়াজ রহমান। অষ্টম  যশোরের কোটচাঁদপুরের উপজেলার মেয়ে সাবরিনা মুশতারী। নবম  ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী সৈয়দ ফাহিম আহমেদ।
দশম স্থান অধিকার করেছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী খাইরুন নাহার আন্নি।
এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৪১৩ জন। এদের মধ্যে মেয়ে ২৬ হাজার ৫৩১ জন, আর ছেলে ২২ হাজার ৮৮২ জন।
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু হবে ২২ অক্টোবর, আর শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। সরকারি মেডিকেলে ভর্তি শেষ হওয়ার পর বেসরকারি মেডিকেলগুলোতে ভর্তি শুরু হবে।
১১ অক্টোবর সারা দেশে একযোগে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলে ১০ হাজার ৪০৪ আসনের বিপরীতে অংশ নেন ৬৯ হাজার ৪০৫ জন।
রাগীব নূর মিডিয়া সিন্ডিকেটকে বলেন, ‘ আমার কোচিংয়ের ভাইয়াদের অবদান অনেক ছিল। কোচিংয়ের ক্লাসগুলো অনেক ভালো ছিল। আমি রংপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আমি কৃতজ্ঞ। এ ফলাফলে আমার টিচারদের পাশাপাশি আমার বাবা-মায়ের অবদানও অনেক। 
রাগীব বলেন, মেডিকেল পরীক্ষায় ভাগ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে কেউ যদি পরিশ্রম করে, তবে ভাগ্য তার কাছে অবশ্যই হার মানবে। সবার উচিত, এইচএসসি পরীক্ষার জন্য বসে না থেকে একটু একটু করে দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নেওয়া। এটাই তাকে সফলতা এনে দেবে।
আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       