SAHA ANTAR
Published:2020-11-20 03:10:58 BdST
অনির্দিষ্টকালের জন্য চেম্বার বন্ধ : কঠোর অবস্থান নিলেন বিক্ষুব্ধ সাইকিয়াট্রিস্টরা
ডেস্ক
অনির্দিষ্টকালের জন্য চেম্বার বন্ধ করে কঠোর অবস্থান নিলেন বাংলাদেশের বিক্ষুব্ধ সাইকিয়াট্রিস্টরা।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস এর নেতারা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিষ্ট্রার ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন এর গ্রেফতারের প্রতিবাদে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কর্মসূচি দেন৷ 
বৈঠকে ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন এর অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন। নিঃর্শত জামিন ও মুক্তির দাবী করা হয়। একই সাথে বিভিন্ন মিডিয়াতে কতিপয় মানসিক চিকিৎসকগন ঢালাওভাবে কমিশন গ্রহণ করেন, এ রিপোর্টের নিন্দা জানানো হয়। এবং মাইন্ড এইড হাসপাতালে পুলিশের সিনিয়ির এএসপি আনিসুল করিমের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করা হয়।
১৮ এবং ১৯ নভেম্বর মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অব্যহত থাকবে বলে জানানো হয়। শনিবার থেকে লাগাতার কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।
১৯ নভেম্বর২০২০ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট চত্বরে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠকে বিএপি সভাপতি অধ্যাপক ডা. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী এর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএপি এর সহ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ব্রি. অাজিজুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নেতারা । সাংবাদিক বৈঠকে বিএপি সভাপতি ডা. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব,বিএপি সহ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, সহযোগী অধ্যাপক ডা. অভ্র দাস ভৌমিক, সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার, সহকারি অধ্যাপক ডা. শাহানা পারভিন ছিলেন ।
সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, ৯ নভেম্বর সকাল ৬.৫০ মিনিটে করিম শিপনকে উত্তেজিত অবস্থায় তার ভগ্নিপতি ডা. রাশেদুল হাসান সহ তিন জন পুলিশ সদস্য জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন। এই সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক রোগীর ভগ্নিপতির সাথে পরামর্শ করে তাতে উত্তেজনা প্রশমনের ইনজেকশন পুশ করেন এবং সকাল ৯ টা পর্যন্ত তাকে অবজারভেশনে রাখেন।
এরপর রোগীর ভগ্নিপতি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহানা পারভীন এর সাথে দেখা করেন। তিনি রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাকে দ্রুত জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু রোগীর স্বজনরা তাকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ভর্তি করাতে অস্বীকৃতি জানান। ডা. শাহানা পারভীন রোগীর ব্যবস্থাপত্রে প্রয়োজনীয় ঔষধ লিখে দেন এবং সরকারি ঔষধও সংগ্রহ করে দেন। এরপর তিনি আগত পুলিশ সদস্যদের সিসিতে ‘আউট’ লিখে সাক্ষরও করে দেন।
আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       