Ameen Qudir
Published:2018-03-06 18:00:32 BdST
মালয়ী বিমানের মানসিক রোগীর কান্ড নিয়েফেসবুক ট্রলিং সত্যিই দু:খজনক
ডা. আবদুস সোবহান সবুজ 
_________________________
কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার পথে মালয়ী একটি এয়ারের ফ্লাইটে নগ্ন অবস্থায় তুলকালাম কাণ্ড ঘটানো বাংলাদেশি তরুণ মানসিকভাবে সুস্থ নন । এই তরুণকে নিয়ে ট্রলিং দু:খজনক। এই আচরণও সুস্থ আচরণ নয়।
খুবই জরুরি হল ওই ছেলেটির সুচিকিৎসা। সেটি করা হয়েছে কিনা, কোন গাফিলতি হয়েছে কিনা , সেটা নিয়ে সমালোচনা হতে পারে। এরকম একজন মানসিক রোগীকে কিভাবে বিমানে বহন করার নিয়ম , সেটা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সেটা কাম্য। কিন্তু একজন মানসিক রোগীর ভারসাম্যহীনতা নিয়ে অশ্লীল ট্রলিং যেন সব বিবেকবুদ্ধির বাইরে চলে যাচ্ছে । সেটা আপত্তিকর।
এই সুযোগে অতি আপত্তিকর ভাবে দেশের একটি অঞ্চল নিয়ে গালাগালি খুবই অন্যায়। 
এই ট্রলিংকারীরাও রোগের শিকার ; সেটা অস্বীকার করা যায় না। যে কোন অস্বাভাবিক মানসিক আচরণই মনোরোগ। সেটা সবাইকে মনে রাখতে বলি।
এবার আসুন , সত্য ঘটনা কি , সেটা মিডিয়া থেকে জানি।
ঢাকার বিমানবন্দর থানার ওসি নূর এ আজম জানান, ২০ বছর বয়সী ওই যুবক ফ্লাইটের ভেতরে যেসব কাণ্ড ঘটিয়েছেন, শনিবার রাতে ঢাকায় পৌঁছানোর পর থানাতেও তার সেই আচরণ চলতে থাকে।
মানসিক অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে এবং চিকিৎসার কাগজপত্র থাকায় কোনো আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওই বাংলাদেশি যুবকের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। মালয়েশিয়ার সাইবারজায়ায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়তেন। শনিবার রাতে মালিন্দ এয়ারের একটি ফ্লাইটে তার কর্মকাণ্ড সহযাত্রীদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়,উড়োজাহাজে নিজের আসনে বসে ওই যুবক নগ্ন হয়ে মোবাইল ফোনে পর্ন দেখতে দেখতে স্বমেহন করেন। নগ্ন অবস্থায় চলাফেরা করেন এবং নিজের আসনেই মূত্রত্যাগ করেন।
কাপড় পরতে বলায় এক বিমানবালার ওপর তিনি চড়াও হন।
রোববার মালিন্দ এয়ারের ফেইসবুক পেইজে ওই যাত্রীর কর্মকাণ্ডে বিব্রতকর পরিস্থিতির জন্য কর্মী ও যাত্রীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করা হয়। তবে তিনি যে মানসিকভাবে অসুস্থ এবং ওই ফ্লাইটে যে তার বাবাও ছিলেন, সে তথ্য মালয়েশিয়ার নিউজ পোর্টালগুলোতে আসেনি।
ঢাকায় পৌঁছানোর পর ওই যুবককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয় মালিন্দ কর্তৃপক্ষ। সেই রাতে তাকে থানায় রাখতে গিয়ে পুলিশকেও একই পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।
ওসি নূর এ আজম বলেন, কোনোভাবেই সে গায়ে কাপড় রাখছিল না। যেখানে সেখানে প্রস্রাব করছিল। পরে তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নেওয়া হলেও একই আচরণ করে। তখন তাকে তার বাবার জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হয়।
বাবার বরাত দিয়ে ওসি জানান, মালয়েশিয়ায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছিলেন ওই যুবক। কিন্তু সেখানে সে এ ধরনের আচরণ শুরু করলে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় আনা হয়। বিমানবন্দর থেকেই তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
_______________
ডা. আবদুস সোবহান সবুজ, নোয়াখালি।
আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       