Ameen Qudir
Published:2017-09-06 18:29:41 BdST
শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর দেশে নির্বিচারে গণহত্যায় সুকি নীরব
-2017-09-06-12-28-39.jpg)
ডা. বাহারুল আলম
_________________________________
শান্তির ধারক, বাহক ও শান্তি প্রতিষ্ঠার বিশ্বযোদ্ধা আন সান সুকি-র মায়ানমার অত্যাচার, নির্যাতন ও রোহিঙ্গা হত্যায় রক্তাক্ত। সেই সাথে নারী ধর্ষণ, বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চলছে। মানুষ ঘরছাড়া, দিশেহারা। আশ্রয় নিয়েছে নোম্যান্স ল্যান্ডে, কেউ বা সমুদ্রে ডুবে মরছে- যাদের লাশ ভেসে আসছে বাংলাদেশের উপকুলে।
মানবতা বিরোধী অপরাধে নোবেল বিজয়ী সুকি কোন কথা না বলা , প্রতিবাদ না করা, রাজনৈতিক কৌশল না হত্যাকারীদের সমর্থক -স্পষ্ট নয় । বাংলাদেশ সহ বিশ্ববাসী হতবাক ! রাজনৈতিক কৌশলের কারণে সুকি যদি নীরব থাকে, তাহলে তার শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তির সনদ কেড়ে নেওয়া উচিত। বিশ্ব নোবেল কমিটি এ দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। পৃথিবীর যে দেশের যে প্রান্তে গণহত্যা হোক না কেন তা নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সুকির নীরবতা হত্যাকারীদের পক্ষাবলম্বন বোঝায়। বাস্তবে সেটাই ঘটছে। তার দ্বারা শান্তি প্রতিষ্ঠার কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না । ভিটেমাটি থেকে উৎখাত করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের দিকে শরণার্থী হিসাবে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব-বিবেক গণহত্যার তীব্রতার তুলনায় নীরব ও নিথর। অগণিত মানুষের জীবন সংহারে তারা কূটনৈতিক মিশন নিয়ে ব্যস্ত (কফি আনান তার উদাহরণ)। অথর্ব জাতিসংঘ মায়ানমারের বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ। কেবল সভা করে অকার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আর কোন ভূমিকা নাই। মায়ানমারের লাঞ্ছিত মানবতা আজ কোন বিশ্ব-বিবেকের সম্মুখে দাঁড়াবে ?
বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীর ভারে জর্জরিত । এ সকল শরণার্থীকে পুনরায় সেদেশে ফেরত না পাঠাতে পারলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশের সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় মায়ানমার বাধ্য হবে তার শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে। মায়ানমারে গণহত্যা ও নির্যাতনের জন্য প্রত্যক্ষ হত্যাকারীদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়েও বাংলাদেশ উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে পারে।
সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে, অনবরত শরণার্থীর চাপ বাড়তে থাকলে এক সময় দুদেশের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে অনিবার্য যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। তখন যুদ্ধই হবে একমাত্র সমাধান। আরও মানুষের জীবন ও জনপদ ধ্বংস হওয়ার দিকেই এগিয়ে যাবে দুই দেশ। বিশ্ব-বিবেক তখনও চুপ থাকবে, মেতে উঠবে কূটনৈতিক চালের দাবা খেলায়।
এখনই সময় সমাধানের পথ খোঁজা - প্রয়োজন সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ।
_________________________________
ডা. বাহারুল আলম। পেশাজীবী নেতা। লোকসেবী ডাক্তার।
আপনার মতামত দিন:

-2017-09-06-12-28-39.jpg) 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       