ডাক্তার প্রতিদিন
Published:2020-04-24 15:21:09 BdST
জীবনরক্ষাকারী ওষুধের কাজে বেক্সিমকো ফার্মার এরিয়া ম্যানেজারের করুণ মৃত্যু
ডেস্ক 
________________
 মানুষের জন্য জীবনরক্ষাকারী ওষুধ শিল্পের কাজে তিনি ক্লান্তিহীনভাবে ছুটছিলেন। মটর সাইকেলে চড়ে ; হঠাৎ বরিশালে গড়িয়ারপাড়ে রাস্তার পাশে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন তিনি। বেক্সিমকো ফার্মার এরিয়া ম্যানেজার সুজিত হালদার। মানবসেবার কাজে গায়ে পিপিই পরে কাজ করছিলেন করোনাকালেও। ছুটি ছিল না মানবসেবার কাজে। করোনার ভয়ে অজ্ঞান মানুষটির কাছে আসে নি লোকজন। ২২ এপ্রিল ২০২০ বুধবার ; পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপতালে ভর্তি করে। সেখানে তাতে মৃত ঘোষণা করা হয়। 
যাতায়াত কালে তার সাথে মোঃ শাহে নেওয়াজ নামে একজন সহযোগী ছিলেন।
নেওয়াজ জানান, বরিশাল থেকে তারা গৌরনদী উপজেলায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মোটরবাইক (ঢাকা মেট্রো-হ-৪৬-১৩৩৬) দাড় করিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছের উপর বসে পড়েন।
এর একটু পরেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এসব দেখে মুঠোফোনে ওই ব্যক্তির বাড়িতে খবর দেয়া হয়।
কিন্তু স্বজনদের আসতে দেরিয়ে হওয়ায় পার্শ্ববর্তী এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ারেসসহ একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুততার সাথে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।শেবাচিম হাসপাতাল দায়িত্বশীলরা জানান, সুজিত হালদারকে উদ্ধার হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে এয়ার এম্বুলেন্স যোগে ঢাকা নেয়ার পথে সে মারা যায়।
সুজিত হালদার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রেখে গেছেন।

এম ডি হাসান আলি হাসান জানান, 
বেক্সিমকো ফার্মার আমাদের সহকর্মী সুজিত হালদার এর অকাল প্রয়াণে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি পরিবারের সকল সদস্য গভীরভাবে শোকাহত।
সুজিত হালদার বরিশালে কর্মরত অবস্থায় গতকাল স্ট্রোক করেন। সুজিত শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আমরা তার স্বর্গীয় আত্মার শান্তি কামনা করছি। সুজিত হালদার কোভিড বা করোনা রোগে আক্রান্ত ছিলেন না এটা আমি মানতে পারছি না। কারণ তার করোনা ভাইরাস অসুখের একটি লক্ষণ বা উপসর্গও উপস্হিত ছিল । আপনারা জানেন স্ট্রোক একটি অন্যতম উপসর্গ করোনার।
উনি ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি হওয়ার কারণে উনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তো ওনার করোনা পজেটিভ আসবে না এটা আমার কথা না আমাদের সাধারণ সম্পাদক সফিউর রহমান আগেই প্রমাণসহ বলেছেন!!!
ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি পরিবারের পক্ষ থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাই আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। এই দুঃসময়ে আমরা তাদের সকল প্রয়োজনে পাশে থাকব।
ভিলেজ ধলঘাটা মহেশখালী গ্রুপ শোকবানীতে বলেন, 
আহারে মৃত্যু!
বেক্সিমকো ফার্মার এরিয়া ম্যানেজার সুজিত হালদার।
পিপিই পরেই সহকর্মী শাহে নেওয়াজকে সাথে নিয়ে মোটর সাইকেল চালিয়ে বরিশাল থেকে গৌরনদী যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে রাস্তার পাশে বসে পড়েন, তারপর জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পুলিশ এসে উনাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে উনাকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় এয়ার এম্বুলেন্স কল করা হয় এবং সেটিতে করে ঢাকা নেয়ার পথে উনি মারা যান।
আমরা নিজেরাও জানি না কখন, কোথায়, কিভাবে আমাদের মৃত্যু হবে।
AD..

আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       