Ameen Qudir
Published:2020-04-04 17:36:06 BdST
মন্দির এবং তীর্থক্ষেত্রে আমাদের করণীয়ঃ ঘরে থাকুন , ঘরে থাকুন এবং ঘরে থাকুন
ডা. অসিত মজুমদার
মানবতার সেবক
গরীবের ডাক্তার
____________
বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে বা অনেকে আমাকে পাঠানো বিভিন্ন লিঙ্ক থেকে দেখা যায় মানুষ সরকার নির্দেশিত সামাজিক দূরত্ব না মেনেই মন্দির বা তীর্থক্ষেত্রে পূণ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করছেন। এসময় আমাদের আসলে ঘর থেকে বের হওয়া একদমই উচিত নয়। কেউ কেউ হয়তো ভাবছেন কি আর হবে! বা হইলে কি আর করব! এখনও তো আমরা খারাপ কিছু দেখছি না। আমরা নিশ্চয়ই জানি ভারতে এক ধর্মগুরু হতে ৪০,০০০ ভক্তের শরীরে করোনা ছড়িয়ে যাবার আশংকা তৈরী হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে শুধু আবেগ নয়, আমরা ঠান্ডা মাথায় একটু চিন্তা করি। আমারও ধর্মীয় অনুভূতি আছে কিন্তু আমাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আমার কারণে কেউ যেন করোনা রোগী হয়ে না যায়। বেঁচে থাকলে আরো অনেকবার আমরা মন্দির বা তীর্থক্ষেত্রে যাবার সুযোগ পাব। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাদের - আপনাদের সবাইকে ইচ্ছেমত সেই সুযোগটি দান করেন।
তবে দয়া করে আপনারা এই সময় সরকার নির্দেশিত নিয়ম মেনে চলুন। আবারও বলছি, নিয়ম মানুন। ঘরে থাকুন, ঘরে থাকুন এবং ঘরে থাকুন। এই সময় ঘরে না থাকলে ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। মনে রাখবেন একজনের করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ হলে তা কোন রকম উপসর্গ ছাড়াই হাজার হাজার মানুষে ছড়াতে পারে এবং ঘরে না থাকলে তাদের থেকে আরো হাজার হাজার মানুষে ছড়াতে পারে। এভাবে জ্যামিতিক হারে বেড়ে যেতেই পারে। বিভিন্ন দেশের পরিসংখ্যান মতে প্রথম রোগ সনাক্ত হওয়ার দেড়মাস পর পরিস্থিতি বুঝা গেছে ভয়াবহতা আসলে কত। কোন আতঙ্ক নয়, তবে আমাদের এই মুহূর্তে সচেতন হওয়াটা খুবই জরুরী। অনেকেই অনেক ভাল বুঝেন এটা আমি জানি এবং বিশ্বাস করি। পাশাপাশি এটাও সত্য সামান্য ভুলে অনেক বড় খেসারত দিতে হতে পারে।
এই সময় আমরা ঘরে বসেই প্রার্থনা করতে পারি। এই ক্রান্তিকাল শেষ হলে আমরা আবার ইচ্ছেমত উপাসনালয় বা তীর্থক্ষেত্রে গিয়ে ধর্মীয় কাজ করতে পারব। আমাদের মনে রাখা দরকার আমরা নিজেরা অজান্তেই যেন কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু না ছড়াই বা অন্যের শরীর থেকে নিজের শরীরে না ঢুকাই। নিজের অজান্তেও অন্যের ক্ষতি করলে ঈশ্বর আমাদের কোনভাবেই ক্ষমা করবেন না। সুতরাং ঘরে থাকা, নিয়মমত হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করাসহ সরকার নির্দেশিত নিয়মসমূহ অক্ষরে অক্ষরে পালন করি।
এই দুর্যোগময় মুহূর্তে যাদের খাবারের প্রয়োজন বা ঔষধের প্রয়োজন তাদের জন্য খাবার বা ঔষধের ব্যবস্থা করাটাও একটা বড় পূণ্যের কাজ। বিভিন্ন পর্যায়ের পূণ্যার্থীগণ যাঁর যাঁর সামর্থ্যানুযায়ী এই সময় এই পূণ্যের কাজটুকু করি।
সবাই ভাল থাকুন। ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন।
আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       