Ameen Qudir
Published:2020-03-05 18:12:08 BdST
এসব ফালতু কথা কই পেলো? অযথা ইউনিসেফ এর বরাত দিয়ে এসব ছাপানো হচ্ছে কেনো !
ডেস্ক 
__________________
ইউনিসেফ এর বরাত দিয়ে একদল ফেসবুকার অপপ্রচারকারী নানা ধরণের অবৈজ্ঞানিক , চিকিৎসাবিদ্যা বহির্ভুত কথা রটিয়ে ফিরছে। ভুলেও এসবে কান দেবেন না। ওয়াজ মাহফিলে করোনা ভাইরাসের আকার প্রকার গবেষণাজাত বিকৃত বক্তব্য , গোমূত্র পান , উটমূত্র পান , গোবর গোছল : এসবই নানা প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের উদ্দেশ্যমূলক প্রচার ও গুজব।



প্রখ্যাত চিকিৎসক লেখক অধ্যাপক অনির্বাণ বিশ্বাস বলেন, 
করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে ভুগবেন না। জ্বর কাশি মানেই করোনা নয়, উল্টে সিজনাল ভাইরাল ইনফেকশন এর সম্ভাবনা অনেক বেশি।এই সময় বাড়িতে থাকুন। শরীর বেশি খারাপ লাগলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিন।
বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাঈদ এনাম বলেন, 
এসব ফালতু কথাবার্তা কই পাইলো?
অযথা ইউনিসেফ এর বরাত দিয়ে এসব ছাপানো হচ্ছে কেনো...!!!
তাহলে 
অসুখ থেকে বাঁচতে কী করব? জানুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)কাছে থেকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এই করোনাভাইরাস থেকে দূরে থাকতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। করোনাভাইরাস নিয়ে বার বার সচেতন করছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরাও। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের চিকিৎসক ও ভায়ারোলজিস্টরাও এই নিয়ে সচেতন করছেন সকলকে।
• যে কোনও খাবার মূলত মাছ-মাংস ভাল করে ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ফ্রিজেও এই ভাইরাস বেঁচে থাকে। তাই যে কোনও খাবার খুব ভাল করে গরম করে ও ফুটিয়ে খান।
• ফ্রিজে রান্না করা তরকারি ও কাঁচা তরকারি একসঙ্গে রাখবেন না। নিয়মিত ফ্রিজ পরিষ্কার করুন।
• বাদুড়ে খাওয়া ফল বা খুঁত আছে এমন ফল খাবেন না। দীর্ঘ সময় কেটে রাখা ফলও এড়িয়ে চলুন।
• মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধানিষেধ নেই। এই নিয়ে অকারণ আতঙ্ক করতেও নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। তবে যে কোনও মাংসই খুব ভাল করে পরিষ্কার করে ও সুসিদ্ধ করে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
• প্যাকেটজাত ইমপোর্টেড মাংস আপাতত না কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
• সর্দি-কাশি এমনিতেই সংক্রামক অসুখ। করোনা-আতঙ্কের সময় তাই এ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। দীর্ঘ দিন সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত এমন মানুষের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন অন্তত এক মিটার। বাড়িতে এমন কেউ থাকলে তার ব্যবহৃত জিনিসও আলাদা করে রাখুন।
• কিন্তু এ তো গেল চেনা পরিচিত মানুষের কথা। রাস্তাঘাটে বেড়িয়ে কোন মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে আক্রান্ত তা বুঝবেন কী করে? তাই রাস্তায় বেরলেই মাস্ক ব্যবহার করুন। সাধারণ মাস্ক নয়, ত্রিস্তরীয় নীল বা সবুজ রঙের মাস্ক যা কেবলমাত্র ওষুধের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়।
• ডিসপোজাল মাস্ক পরুন। মাস্ক ভিজে গেলে ও গোটা এক দিন ব্যবহার হয়ে গেলে তা বদলে ফেলুন।
• বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে খুব ভাল করে কনুই অবধি হাত ধুয়ে নিন। আঙুলের ফাঁক, নখের কোনা, হাতের উপরিভাগ সবটাই ভাল করে ধুয়ে শুকিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু ক্ষণ হাত উঁচু করে রাখুন। ইথাইল অ্যালকোহল বা পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দিয়ে হাত ধুতে পারেন। তবে সাবান দিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করে নিলেও হবে।
• হাত উঁচু করে রেখে হাত শুকিয়ে তবেই কারও গায়ে হাত দিন। বিশেষ করে বাড়িতে শিশু থাকলে এই নিয়ম অবশ্য পালনীয়।
আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       