Ameen Qudir
Published:2017-12-23 19:49:08 BdST
মৃতকে জীবিত করার গবেষণায় বিজ্ঞানীরা
ডেস্ক রিপোর্ট ওয়াশিংটন থেকে
যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের প্রতিষ্ঠান বায়োটেক দীর্ঘদিন ধরেই মৃত মানুষকে জীবিত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে আসছেন।
কিন্তু এ বিষয়ে অনুমতি ছিল না দেশটির সরকারের। তবে বেশ কিছু দিন আগেই এ বিষয়ে নৈতিকভাবে অনুমতি মিলেছে। গবেষকরা এখন থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় সব গবেষণা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।
জোরদার চলছে এসব গবেষণা। তাদের মুখপাত্ররা বলছেন, সাফল্য মিলবেই। কিন্তু বিশ্ব মানবের প্রচলিত মনোজগতে কি ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে এমন যুগান্তকারী ঘটনা; সেটাও তারা আমলে নিচ্ছেন অতি গুরুত্বের সঙ্গে। জার্মানীতেও চলছে গবেষণা।এসব বিস্ময়কর কাজে মানবমনের প্রতিক্রিয়াও বিশেষ ভাবে আলোচনায়। তাই গবেষনার সাফল্যের নানা খবর নিয়ে ব্যাপক গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। 
ইতোমধ্যে ক্লোন সফল হয়েছে ২৫ বছর পুরানা ভ্রুণ দিয়ে শিশুর জন্ম হয়েছে। এসবই যুগান্তকারী ঘটনা।
চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বায়োটেকের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় ক্লিনিক্যালি মৃত ঘোষণা করা হয়েছে এমন ২০টি দেহের ওপর কিছু থেরাপির সমন্বয় করবে তারা। এর মাধ্যমে তারা পর্যবেক্ষণ করবে আসলে মস্তিষ্ক কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয় কিনা। অথবা তার মস্তিষ্ককে পুনরায় সক্রিয় করা যায় কিনা। এ গবেষণার মাধ্যমে তারা বিশেষ অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন গবেষকরা।
আরেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বায়োকোয়ার্ক ইনকরপোরেট’র নির্বাহী প্রধান ড. ইরা পাস্তুর জানান, ‘সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এটাই প্রথম গবেষণা। আমরা সবেমাত্র এ ধরনের পরীক্ষার অনুমতি পেয়েছি। যে রোগীদের পেয়েছি তাদের ওপর প্রথম থেকেই পরীক্ষা শুরু হবে। রোগীদের পরিবারের কোনো আপত্তি রয়েছে কিনা তা নিয়েও তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে। আশা করছি, গবেষণা শুরুর প্রথম দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে অগ্রগতি সাধিত হবে।’
ক্লিনিক্যালি মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে এমন রোগীদের লাইফ সাপোর্টে বাঁচিয়ে রাখা হবে। এরপর কয়েক মাস ধরে তাদের ওপর চলবে গবেষণা। এর মাধমে বিজ্ঞানীরা সাধারণত মস্তিষ্কের বিশেষ করে আপার সিগনাল কর্ডকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করবেন। কেননা এই অংশটি মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, মস্তিষ্কের স্টিম সেলগুলো থেকে যাবতীয় ইতিহাস মুছে তাদের আবার নতুনভাবে সাজানো যায়।
আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       