ডেস্ক
Published:2021-12-16 05:04:51 BdST
মর্গ থেকে মর্মান্তিকঢাবির ছাত্রী ইলমার মৃত্যু রহস্য,শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন
সংবাদ দাতা 
______
ঢাবির ছাত্রী ইলমার মৃত্যু নিয়ে ক্ষুব্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। তাঁর  শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ইলমা চৌধুরীর (মেঘলা) অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
ইলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী আজ বুধবার বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় এ হত্যা মামলা করেন।
মামলায় ইলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীন, তাঁর মা শিরিন আমিন ও ইফতেখারের পালক বাবা মো. আমিনকে আসামি করা হয়েছে।
ইলমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী ইফতেখারকে গতকাল মঙ্গলবারই আটক করে পুলিশ।
ইলমার স্বামী ইফতেখার কানাডাপ্রবাসী। তিনি গত রোববার ঢাকায় ফেরেন বলে জানায় পুলিশ।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আযম মিয়া জানান, গতকাল বিকেল চারটার দিকে ইলমাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। সুরতহালে ইলমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিলে ইলমার সঙ্গে ইফতেখারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ইফতেখার ও তাঁর মা–বাবা ইলামাকে পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে বলেন। ইলমা পড়া বন্ধ করতে না চাওয়ায় ইফতেখার ও তাঁর মা–বাবা মিলে তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে তাঁর মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। বিয়ের তিন মাস পর ইফতেখার কানাডায় চলে যান। ১২ ডিসেম্বর তিনি ফিরে আসেন। গতকাল সাইফুল চৌধুরীর স্ত্রীর মুঠোফোনে কল করে ইফতেখার জানান, তাঁর মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য তাঁকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের আসতে বলেন তিনি।
সাইফুল চৌধুরীর অভিযোগ, আসামিদের সন্দেহজনক আচরণ দেখে মেয়ের লাশ পর্যালোচনা করেন তিনি। দেখেন, ইলমার নাকে, ওপরের ঠোঁটে, পিঠের ডান পাশে, বাঁ কানসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন।
সাইফুল চৌধুরী এজাহারে বলেছেন, তিন আসামি পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে ইলমাকে মারধর করে হত্যা করেছেন।
আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       