Dr. Aminul Islam
Published:2021-04-15 02:56:58 BdST
লকডাউনে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার মহান কর্তব্য পালন করতে গিয়ে ডাক্তাররা নানা হয়রানির শিকার
কর্তব্য পালনে অবিচল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মী বৃন্দ। প্রতিকী ছবি
ডেস্ক 
--------------
লকডাউনে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার মহান কর্তব্য পালন করতে গিয়ে ডাক্তাররা নানা হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ মিলেছে। 
ডা.কৃষ্ণা হালদার লিখেছেন, ‘গত রাতে কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে আমার নাইট শিফটে ডিউটি ছিল। সকালে আমার ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার পিক আপ করার সময় কারওয়ান বাজার সিগন্যালে ড্রাইভার আমার আইডি কার্ড দেখানোর পরও পুলিশ মামলা করেছে। পুলিশ তাঁকে ফাইন করেছে, সব কাগজপত্র নিয়ে গেছে। পরে তিনি পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাননি। বারবার চেষ্টা করেও তিনি মুভমেন্ট পাস বের করতে পারেননি বলেও উল্লেখ করেছেন।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউর দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক শাহজাদ হোসেন মাসুম লিখেছেন, ‘আমার আইসিইউর নার্সদের বহনকারী অধিদপ্তর থেকে সংযুক্ত স্টিকারযুক্ত গাড়ি টঙ্গী থেকে আসার সময় আটকে রাখে পুলিশ এবং জানায় মুভমেন্ট পাস ছাড়া যেতে দেবে না। ... তারা আমাকে কল করলে আমি পরিচালক মহোদয়কে জানাই। তারা কোভিড আইসিইউর স্টাফ উল্লেখ করে অনেকবার অনুরোধ করলেও পুলিশ মুভমেন্ট পাস ছাড়া গাড়ি ছাড়বে না বলে জানায়। দুই ঘণ্টা আটকে থাকার পর তারা হাসপাতালে পৌঁছাতে পারে।’
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবেদনবিদ্যা বিভাগের চিকিৎসক ইফতেখারকে ফার্মগেটে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তিনি রাতের পালার কাজ সেরে বাসায় ফিরছিলেন। পরে ওই চিকিৎসক সাত কিলোমিটার হেঁটে রামপুরার বাসায় পৌঁছান।
স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক নাজমুল ইসলামের স্ত্রী চিকিৎসক ইসরাত জাহান ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। সঙ্গে তাঁর স্বামীকে যে তিন হাজার টাকার জরিমানা গুনতে হয়েছে সেই স্লিপও যুক্ত করেছেন।
ইসরাত জাহান লিখেছেন, ‘আমার হাসবেন্ড স্কয়ার হসপিটালের কোভিড ইউনিটে কর্তব্যরত আছেন। আজকে সকাল ৮টা থেকে তার ডিউটি ছিল। আমাদের বাসায় আমার শ্বশুর কোভিড পজিটিভ হওয়ায় আমার হাসবেন্ড বাসা (মুন্সিগঞ্জ) থেকে নিজেদের গাড়ি নিয়ে ডিউটিতে যাচ্ছেন বেশ কিছুদিন যাবৎ। ...সকালে আমাদের গাড়ি সাইনবোর্ডের একটু পরে থামায় এবং ৩০০০ টাকা জরিমানা করে। আমার হাসবেন্ডের সাথে তার কর্মস্থলের আইডি কার্ড ছিল। স্কয়ার হসপিটালের ট্রান্সপোর্ট অবশ্যই মুন্সিগঞ্জ আসবে না। আর হঠাৎ করে একটা অ্যাপ বানিয়ে বলল নেন মুভমেন্ট পাস নামক সার্কাস নিয়া বাইর বের হবেন যেখানে তাদের ওয়েবসাইটেই ঢোকাই যায় না। এমতাবস্থায় ডাক্তাররা কি সারা দিন ডিউটি বাদ দিয়ে পাস পাস খেলবে নাকি????’
রিয়াজ আহমেদ তমাল লিখেছেন, ‘৭টায় গাজীপুরের টঙ্গী কলেজ গেট থেকে রিকশাযোগে আসার সময় টঙ্গী স্টেশন রোডে পুলিশ আটকাল। আমার আইসিডিডিআর,বি আইডি কার্ড দেখালে বলে যে আমাদেরও নাকি বের হওয়া নিষেধ। অবশেষে বলে দিলেন যে হাসপাতালে ডিউটি করতে হলে রাতে সেখানে থেকে যেতে।’
ঢাকা মহানগর পুলিশে ট্রাফিকের অতিরিক্ত কমিশনার মুবিনুর রহমান বলেন, কিছু জায়গায় সমস্যা হয়েছে, আমাদের কানে পৌঁছানো মাত্রই সুরাহা করার চেষ্টা করছি।’
জরুরি সেবায় নিয়োজিত যাঁরা তাঁদের চলাচল লকডাউনের আওতামুক্ত বলে জানান তিনি। চিকিৎসকদের গাড়িচালকরাও আওতামুক্ত কি না, জানতে চাইলে বলেন, ‘গাড়িচালকদের মুভমেন্ট পাস নিতে হবে।’
আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       