Ameen Qudir
Published:2020-02-25 21:52:07 BdST
রোগী হিসেবে সন্তুষ্ট কিন্তু.....
ব্রিগেডিয়ার জে. ডা. নাসিরউদ্দিন আহমেদ 
_________________________
আমি ও আমার পুরো পরিবারের পাঁচ জন সদস্যসের রক্ত পরীক্ষা ভ্যাকুটেনারে বার কোড দিয়ে নিল। সকল প্রসিডিউর যথাযত ভাবে মেনে রক্ত নিল। সময় নিল ১ ঘন্টা। সকল কেমিকাল রিএজেন্ট কোল্ড চেইনে রাখা স্যামপল তাপনিয়ন্ত্রিত ফ্লাক্সে নিয়েছিল।
বিল দিলাম ৩২ হাজার পাঁচশত। ২৫% ডিসকাউন্ট ডাক্তার হিসেবে পেয়েছি।পরের দিন ১২ টায় রিপোর্ট এর হার্ড কপি ডেলিভারি এবং ইমেইল এ ফরোয়ার্ড করেছে।
রাত ৮ টায় ডাক্তারের এপয়নমেন্ট। ৪ জন রোগীদেখতে ২ ঘন্টা সময়। ভিজিট ৪ জনের ২৮০০ টাকা। ডাক্তার বলে ভিজিট নেয় নি।কিন্তু যত্ন ও ব্যবহারে শ্রদ্ধেয় ডাক্তার অমায়িক এবং ধৈর্যশীল।ঔষধ কিনেছি ১৫০০০ টাকায়।তারপর গাড়ীভাড়া,ড্রাইভার এর বেতন তো আছে।
আমি রোগী ও অভিভাবক হিসেবে সন্তুষ্ট।
শিক্ষাঃ
উপযুক্ত অবকাঠামো গুরুত্বপূর্ণ
কোয়ালিটি সার্ভিস এর জন্য পয়সা খরচ করতে হয়।
ডাক্তার একজন অধ্যাপক। বেতন পান ৪ লাখ টাকা।
সীমিত রোগী সময় নিয়ে দেখেন।
সরকারি হাসপাতালেঃ
সরকারি হাসপাতালে এ টেস্ট গুলোর জন্য খরচ হতো ৬ হাজার টাকা।
কোয়ালিটি নিশ্চিত করা সম্ভব নয় অবকাঠামো ও অতিরিক্ত রোগীর চাপ এর কারনে।
বেতন এর পার্থক্য।
জবাবদিহিতার অভাব।
অতিরিক্ত রোগীর চাপ
রোগীর নিজস্ব ব্যায় সরকারি হাসপাতালে সর্বনিম্ন।সম্ভবতঃ পৃথিবীর সর্বনিম্ন।
বাস্তবতা আমরা মানতে চাই না।
দায়িত্বশীলতার সাথে পরিকল্পনা করি না। স্বজন প্রীতি ও বিভাজন এর কারণে সরকারি হাস্পাতালের কাংখিত উন্নয়ন করা এবং সেবা দেয়া সম্ভব নয়।
প্রাইভেট হাসপাতালের পুরো সেট আপ ঘুরে দেখলাম। ৫ স্টার ফ্যাসিলিটি। বড় অসুখ হলে টাকা খরচ আমার পর্যায়ের মানুষের সাধ্যের মধ্যে নেই।
সরকারি হাসপাতালে ভাল সার্ভিস পেতে হলে ভাল অবকাঠামে ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।রোগীর চাপ কমানোর বিকল্প নেই।স্বপ্ন দেখি।ভাল কিছু একদিন হবে।
বিনীত
পরিচালক
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       