Ameen Qudir
Published:2019-09-03 20:09:48 BdST
গর্ভাবস্থায় 'পানি ভাঙা' কী এবং করণীয়
ডাঃ নুসরাতজাহান
অ্যাসোসিয়েট কন্সালটেন্ট( অবস-গাইনী) 
ইমপেরিয়াল হসপিটাল, চট্টগ্রাম।
_______________________
সাধারণত এমনিওটিক মেমব্রেন রাপচার হয় । লেবার পেইন ওঠার পর,তবেকোনো কারণে যদি এর আগেই মেমব্রেন রাপচার হয়ে এমনিওটিক ফ্লুইড বা গর্ভস্থ পানি বের হয়ে যায় তবে তাকে প্রিম্যাচিউর রাপচার অফ মেমব্রেন বা বলে। একটি গর্ভাবস্থায় একটি কমন প্রবলেম।অনেক মায়েরা বিষয়টি নিয়ে শংকিত থাকেন।দেখা যায় কোনো কারণে যদি মাসিকের রাস্তা দিয়ে অতিরিক্ত পানি বের হয় তবে বেশিরভাগ গর্ভবতী নারীরা ধরে নেন এটা বাচ্চার পানি অর্থাৎ অ্যামনিওটিক ফ্লুইড। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ সময় অনেক কারণেই এমন সিক্রেশন হতে পারে, যেমনইউরিনবা প্রস্রাব যদি বের হয় তা হলেও একে এমনিওটিক ফ্লুইড এর মতোই মনে হতে পারে। প্রেগনেন্ট অবস্থায় ভ্যাজাইনাল সিক্রেশন অনেক বেড়ে যায়, যার ফলে মাঝে মাঝে এইনরমাল সিক্রেশনকেও এমনিওটিক ফ্লুইড ভেবে ভুল হতে পারে।
#কিভাবে সঠিক ডায়াগনোসিস সম্ভব?
ভালোভাবে হিস্ট্রিনিয়ে আমরা কিছুটা আইডিয়া করতে পারি আসলেই মেমব্রেন রাপচার হয়েছে কি-না।মেমব্রেন রাপচার হলে সাধারণত একসাথে অনেক পানি বের হবে এবং পেটিকোট ভিজে যাবে।এছাড়া স্পেকুলাম এক্সামিনেশন এর মাধ্যমে জরায়ুর মুখ সরাসরি দেখে কনফার্ম করা যায়, এবং কিছু ইনভেস্টিগেশন করেও বোঝা যায় এটা সত্যিই এমনিওটিক ফ্লুইড কিনা। অনেক মায়েদের ধারণা আল্ট্রাসনোগ্রাম এর মাধ্যমেএরডায়াগনোসিস সম্ভব। আসলে আল্ট্রাসনোগ্রাম শুধুমাত্র বলতে পারবে তার এমনিওটিক ফ্লুইড কতটা আছে।ফ্লুইড যদি কম থাকে, তবে সেটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।আর তাই মেমব্রেন রাপচার হয়েছে কিনা এ সম্পর্কে কনফার্মহওয়া যাবে না।
# ফলাফল কি হতে পারে?
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে যদি এমনটি হয়ে থাকে তবে সাধারণত এবরশন হিসেবেই ধরা হয়। আর যদি বাচ্চা ম্যাচিওর হতে কিছু দিন বাকি থাকে, তবে রোগীকে হাসপাতালে বেড রেস্টে রেখে বাচ্চার ম্যাচুরিটি পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়। তবে এর মধ্যে যদি লেবার পেইন অথবা ইনফেকশনের কোন লক্ষণ দেখা যায়তবেসেই প্রেগনেন্সি আর কন্টিনিউ করা সম্ভব হয় না।
গর্ভাবস্থার শেষ দিকে পানি ভাঙলে মাকে 24 ঘন্টার অবজারভেশনে রাখা হয় 80 থেকে 90 ভাগ ক্ষেত্রে লেবার পেইন উঠে যায়। যদি লেবার পেইন না থাকে তবে ওষুধের মাধ্যমে ইন্ডাকশন(লেবার পেইন শুরু করা) করাও সম্ভব।
# সতর্কতাঃ
গর্ভাবস্থায় এমনিওটিক ফ্লুইড রাপচার/পানি ভাঙ্গা একটি ইমারজেন্সি সমস্যা। কারণ এই মেমব্রেন গর্ভস্থ বাচ্চাকে বাইরের জীবাণু থেকে রক্ষা করে। তাই মেমব্রেন রাপচার হলে রোগীকে জীবাণুমুক্ত প্যাডব্যবহার করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়, এন্টিবায়োটিক শুরু করা হয়।একই সাথে এমনিওটিক ফ্লুইড এবং ইউরিন পরীক্ষা করে দেখা হয় কোন ইনফেকশনের লক্ষণ আছে কিনা, কারণ বিভিন্ন ইনফেকশনের কারণেওমেমব্রেন রাপচার হতে পারে। তাই পানি ভাঙ্গার লক্ষণ দেখা দিলে গর্ভবতীদের উচিত অনতিবিলম্বে তার নিকটস্থ ডাক্তার কে অভিহিত করা।
আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       