Dr.Liakat Ali
Published:2022-01-12 01:08:27 BdST
ভ্যাক্সিন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অভিযোগের জবাব
বিএসএমএমইউ মিডিয়া সেল 
______________________
ভ্যাক্সিন দেয়া এবং এর মেসেজ পাওয়া নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠছে সেই ব্যাপারগুলো সম্পূর্ণভাবে অজ্ঞতাপ্রসূত এবং দুরভিসন্ধিমূলক। ভ্যাক্সিনের ১ম, ২য় ও বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সরকারের আইটি বিভাগ এবং ইপিআই সেন্টারের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা বা এম আই এস এর মাধ্যমে নির্ধারিত ব্যক্তিরাই মেসেজ পেয়ে থাকেন। কোন একটি সেন্টারের মেসেজের ক্ষেত্রে সেই সেন্টারের সক্ষমতা (যেমন- বুথের সংখ্যা, দক্ষ লোকবল ইত্যাদি) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এছাড়াও টীকার ক্ষেত্রে বয়স্ক, সন্তানসম্ভবা ও উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের সরকারি নীতিমালার আলোকেই বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে, এখনও ১ম, ২য় ও বুস্টার এই তিন ধরণের টীকা কার্যক্রমই চলমান। এই তিন ধরণের মাঝে সমন্বয় সাধন করেই টীকা দানের মেসেজ পাঠানো হয়ে থাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে । সেকারণেই বুস্টার ডোজের মেসেজ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ১ম ও ২য় ডোজের মত একই ক্রম স্বাভাবিকভাবেই অনুসৃত নাও হতে পারে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাক্সিন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কোন ত্রুটি নয়। বরং বিশ্ববিদ্যালয় ভ্যক্সিন সেণ্টার এর সীমিত লোকবলের মাধ্যমেও সবচেয়ে সুশৃঙ্ক্ষলভাবে এবং সুনামের সাথে ভ্যক্সিন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং তা একইভাবে অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। তদুপরি কারা মেসেজ পাবেন এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন কোন বিষয় নয়, বরং তা প্রথম রেজিষ্ট্রেশন এর তারিখ ও অন্যান্য নানা প্রাসঙ্গিক বিষয় বিবেচনা সাপেক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করে থাকে একটি অপরিবর্তনীয় সফটওয়্যার ও ডাটাবেইজ এর মাধ্যমে। একারণেই এই ব্যবস্থাপনায় অনৈতিক হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। আবার, সেণ্টার হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেন্ডিং এস এম এস এর সংখ্যাই সর্বনিম্ন যা এই সেণ্টারের দক্ষ ব্যবস্থাপনারই পরিচায়ক। যারা এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তারা বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন অথবা সরকার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি মহতী উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতায় লিপ্ত। একারণেই যারা বুস্টার ডোজের মেসেজ এখনও পাননি তাদেরকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে বিনীতভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। কোনরকম গুজবে কান দেবেন না। বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
তথা সরকার আপনাদের পাশে আছে সবসময়।
আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       