ডেস্ক
Published:2021-08-15 01:29:26 BdST
বঙ্গবন্ধুর খুনীদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
সংবাদ দাতা 
________________________
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, এমপি বলেছেন, ১৫ই আগস্টের হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসের সবচাইতে নৃশংসতম রাজনৈতিক হত্যাকান্ড। অথচ এই হত্যাকান্ডের দিন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কেক কেটে বা অন্য কোনো না কোনোভাবে জন্মদিন পালন করেন। এটা জাতির সাথে নির্মম তামাশা। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন জন্মদিন পালন করে আসছেন। তার এসএসসির সার্টিফিকেটে জন্ম তারিখ ১৯৪৫ সালের ৯ আগস্ট। আবার সর্বশেষ করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণ রিপোর্টে তার জন্মদিনের তারিখ ৮ই মে ১৯৪৬। প্রশ্ন হলো একজন মানুষের কয়টা জন্মদিন হতে পারে? ৬টি জন্মদিন হয় কিভাবে? মাননীয় সেতুমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা ভাইরাস জনিত মহামারীকে সফলভাবে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে নিরন্তর লড়ে যাচ্ছেন। দুই শতাধিক চিকিৎসক প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সবকিছুতে ইস্যু খুঁজে বেড়ায়। গণটিকা কার্যক্রম নিয়েও অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে টিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে টিকার কোনো সংকট নাই, ভবিষ্যতেও টিকার কোনো সংকট হবে না। আজ ১৪ আগস্ট ২০২১ইং তারিখ শনিবার সকাল ১০টায় ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ এর কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় মন্ত্রী একথা বলেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক, এমপি বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকার ভাইরাসটি সনাক্তকরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা, টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন ছাড়াও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারকে জীবন ও জীবিকার কথা বিবেচনায় রেখেই করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বর্তমানে সংক্রমণ ও মৃত্যু হার বৃদ্ধি পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্টের সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর যে সমস্ত খুনীদের এখনও ফাঁসি দেওয়া যায়নি তাদেরকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করার জোর দাবী জানিয়ে বলেন, জাতীয় শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবং কাঙ্খিত অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিতে পারলেই জাতির পিতার বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে। আর এ লক্ষ্যেই দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন মানবতার জননী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বিরামহীন নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মানবতার মাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭ কোটি মানুষ বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার সকল কর্মকান্ডে সহযোগীতা করবেন আজকের সময়ে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচান সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, এমপি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবার ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা, বিএমআরসি এর বর্তমানে সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এর মহাসচিব ডা. মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ। গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, ডিনবৃন্দ, শিক্ষক, চিকিৎসকবৃন্দ ভারচুয়ালি ও সরাসরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম ইয়ার ই মাহাবুব ও সুব্রত বিশ্বাস। ছবি: মোঃ সোহেল গাজী । নিউজ: প্রশান্ত মজুমদার।
আপনার মতামত দিন:

 
                 
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                       