Dr. Aminul Islam

Published:
2020-11-21 17:30:49 BdST

এন্টিবায়োটিক আর এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স


 


অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী 

___________________________

এন্টিবায়োটিক আর কোভিড ১৯
এন্টিবায়োটিক একধরনের থেরাপি সঙ্ক্রমন চিকিৎসায় হতে পারে সংক্রমণ আঘাতে , কেটে যাওয়া স্থানে অনেক সময় যারা হাসপাতালের
রোগী তাদের সঙ্ক্রমনে । এন্টিবায়োটিকের কল্যানে আজকের আধুনিক চিকিৎসা সেবা , অনেক জটিল সার্জারি সম্ভব হচ্ছে আর মানুষের জীবন বাঁচানো যাচ্ছে ।
এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স । এটি হল ব্যাকটেরিয়ার বৈশিষ্ঠ , মানুষের নয় , আমরা অনেক সময় ভুল করি। ব্যাকটেরিয়া , জীবন্ত জীব এদের একটি লক্ষ্য বেচে থাকা । তাই এটি এর জিন পদার্থ বদলাবার জন্য সব কিছু করতে পারে যাতে এটি এন্টিবায়োটিকের বধ্য না হয় । সহজ কথায় রেজিসটেন্স এক কথায় যখন ব্যাকটেরিয়া আর ধ্বংস হয়না সেই এন্টিবায়োটিকে । আমাদের উদ্বেগের কারণ সংক্রমণ চিকিৎসার জন্য কোন এন্টিবায়োটিক না থাকলে তাহলে আমরা হারাব তাৎপর্যপূর্ণ সব অগ্রগতি যা আমাদের চিকিৎসায় আজ বর্তমান । এরকম অনেক ধারনা এন্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছেনা , যত বেশি ব্যাকটেরিয়া অনাবশ্যক চিকিৎসার কারনে এন্টিবায়োটিকের মুখ মুখী তবে বেশি রেজিসটেন্স গড়ে উঠবে ।
করোনা কালে শ্বসন রোগে আক্রান্ত রোগীর বেজায় বিস্তৃতি ঘটেছে ,রোগী এন্টিবায়োটিকের তাগিদ অনুভব করলেন অথচ সত্যিকার অর্থে কো ভি ড ব্যাকটেরিয়া নয় , ভাইরাস । আর এসবের ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার তাদের চিকিৎসায় ফল দেবেনা বরং হতে থাকবে রেজিসটেন্স আমাদের শরীরে ইতিমধ্যে হাজির ব্যাকটেরিয়াদের । বেশ জটিল দৃশ্য পট । তবে মুল কথা হল স্পষ্ট প্রয়োজন না থাকলে এন্টিবায়োটিক ব্যাবস্থা পত্র করা ঠিক নয় । জনগন বোঝা উচিত করোনার সম্ভাব্য কারনে যারা ঘরে বিচ্ছিন্ন বাস করছেন তাদের এন্টিবায়োটিক দেবার প্রয়োজন নাই , কারন তাদের রোগটি মৃদু একমাত্র তখন প্রয়োজন হতে পারে যদি তারা গুরুতর অসুস্থ হন আর ডাক্তার যদি দেবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন যে কোভিড ১৯ এর সাথে তাদের আছে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও ।
সহায়ক সুত্র ঃ হু ।

আপনার মতামত দিন:


মানুষের জন্য এর জনপ্রিয়