মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোরোগ চিকিৎসাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বাংলাদেশ

ডেস্ক
_____________________

মনোরোগী, মনোরোগ, মানসিক স্বাস্থ্য বাংলাদেশে বরাবরের মত অবহেলিত থাকছে না। এই বিষয়টি এখন থেকে অগ্রাধিকার পাবে।
‘মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বা ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ-এর একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা উচিত: বলেছেন জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান।
জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘মানসিক স্বাস্থ্য ফোরামের’ এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানান হয়।
জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার বহুবিধ খাতভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
বৈঠকে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত আহসান।

এ সময় মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্বাস্থ্যের উন্নয়ন সম্পর্কিত এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ৩.৪ অর্জনের বিষয়ে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত আহসান।
সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টিকে আমাদের সরকার অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছে এবং অতি সম্প্রতি ‘মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮’ প্রণয়ন এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য নীতি চূড়ান্তকরণের মধ্য দিয়ে তার যথাযথ প্রতিফলন ঘটেছে।’
তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘মানসিক স্বাস্থ্য কর্ম-পরিকল্পনা ২০১৩-২০৩০’ এর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত আহসান জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যেসেবা বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য এবং অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের নিরলস প্রচেষ্টা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ও ১৫ অক্টোবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে জেনেভায় ‘মানসিক স্বাস্থ্য ফোরামের’ আয়োজন করা হয়েছে। এ বছর ফোরামের প্রতিপাদ্য হচ্ছে—‘বৈশ্বিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মানসিক স্বাস্থ্য’। সংস্থাটির ১৯৪টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা এতে যোগ দেন।
রাষ্ট্রদূত আহসান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিষদের নব নির্বাচিত সদস্য হিসেবে এই ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।