রাহনুমা নুরাইন

Published:
2025-09-20 09:47:07 BdST

স্কুবা ডাইভিং : সমুদ্রে নামার আগে ৫ পরামর্শে মেনে চলুন


স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রয়াত হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী জ়ুবিন গার্গ। এই অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টটি করার আগে কয়েকটি বিষয় জানা থাকলে অজানা বিপদ থেকে দূরে থাকা যাবে।

 

বার্তা সংস্থা
________

ভ্রমণের জন্য যাঁরা সমুদ্র পছন্দ করেন, তাঁদের অনেকের কাছেই ‘স্কুবা ডাইভিং’ আকর্ষণীয়। সমুদ্রগর্ভের সৌন্দর্যকে কিছুটা কাছ থেকে দেখার সুযোগ করে দেয় এই অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্ট। কিন্তু শুক্রবার সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়েই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ‘ইয়া আলি’ খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী জ়ুবিন গার্গ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই সমাজমাধ্যমে শোকবার্তার ঢল নেমেছে। পাশাপাশি, স্কুবা ডাইভিং কতটা নিরাপদ, তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে।


স্কুবা ডাইভিং করতে হলে

অপাতদৃষ্টিতে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই সমুদ্র তীরবর্তী পর্যটনকেন্দ্রে স্কুবা ডাইভিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন সংস্থা তা করিয়ে থাকে। ফুকেত, পাটায়া, আন্দামান স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য বিখ্যাত। পাশাপাশি লক্ষদ্বীপ, গোয়া, পুদুচেরি, কেরলের কোভালমও স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য জনপ্রিয়। কিন্তু অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য আগে থেকে কয়েকটি বিষয় জেনে নেওয়া উচিত।


১) একা নামা নয়: সাধারণত স্কুবা ডাইভিংয়ের সময়ে সঙ্গে প্রশিক্ষক বা গাইড থাকেন। কিন্তু নিজে ঝুঁকি নিয়ে একা কখনও জলে নামা উচিত নয়। সমুদ্রের গভীরে নানা অজানা বিপদ লুকিয়ে থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে সঙ্গের গাইডই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

২) সংস্থা নির্বাচন: জনপ্রিয় পর্যটকেন্দ্রে একাধিক সংস্থা স্কুবা ডাইভিং করিয়ে থাকে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেই সংস্থা সম্পর্কে বিশদ জেনে নেওয়া উচিত। গাইডের অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষেরা সেই সংস্থাকে আদৌ ভরসা করেন কি না, তা জানা থাকলে বিপদের আশঙ্কা কমবে।

৩) শারীরিক সমস্যা: জলের গভীরে গেলে স্কুবার ডাইভাররা অক্সিজেন ব্যবহার করেন। কিন্তু অগভীর জলে অনেক সময়েই অক্সিজেন ব্যবহার করা হয় না। এ ক্ষেত্রে আগে থেকে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম জানা থাকলে, দেহে নির্দিষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন বজায় থাকবে। ফলে দমের অভাব ঘটবে না। জলের চাপে অনেক সময়ে কানে তালা লাগতে পারে। শ্বাসবায়ুর ব্যায়াম জানা থাকলে সমস্যা কমতে পারে।

৪) সাঁতার জানা: পৃথিবীর কয়েকটি দেশে সাঁতার জানা না থাকলে গভীর সমুদ্রে নামার অনুমতি দেওয়া হয় না। কিন্তু যাঁরা সাঁতার জানানে না, তাঁরাও স্কুবা ডাইভিং করতে পারেন। তবে সাঁতার জানা থাকলে তা সব সময়েই বাড়তি সুবিধা প্রদান করে।

৫) জলে নামার সময়: সমুদ্রের নিজস্ব ব্যাকরণ রয়েছে। পাশাপাশি জোয়ার-ভাটা রয়েছে। আত্মবিশ্বাসী হলেও নুলিয়া বা স্থানীয়দের সঙ্গে পরামর্শ না করে জলে নামা উচিত নয়। নির্জন সৈকতেও নিজের উদ্যোগে জলে নামা উচিত নয়। তার ফলে বিপদে পড়লে সাহায্য না-ও পাওয়া যেতে পারে।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়