DR. AMINUL ISLAM

Published:
2024-10-22 10:39:49 BdST

কোন কোন খাবারে লুকিয়ে ‘মধুমেহ বিষ’


 


ডেস্ক
__________


ডায়াবিটিস বা বাংলায় যাকে বেশ সাড়ম্বরে বলে
মধুমেহ রোগ,  সেটি বাড়ছে! কিন্তু, কতটা বাড়ছে? কিছু পরিসংখ্যান জানালে বোঝা যাবে। ৫ বছরের শিশুরাও প্রায়ই আক্রান্ত হচ্ছে ডায়াবিটিসে। বছর নয়েক আগের একটি সমীক্ষা বলছে, ৬৬.১১ শতাংশ শিশুর শরীরে অস্বাভাবিক মাত্রায় শর্করার উপস্থিতি দেখা গিয়েছিল। ওই সমীক্ষাতে এ-ও জানা গিয়েছিল যে, দেশে ২০১৫ সাল পর্যন্ত হাজারও শিশুর টাইপ ওয়ান ডায়াবিটিস ছিল। একই সময়ে শিশুদের মধ্যে টাইপ টু ডায়াবিটিসের প্রবণতাও বেড়েছিল উল্লেখযোগ্য হারে। এই সবই ২০১৫ সালের হিসাব। যা দেখার পরে সতর্ক করেছিলেন দেশের স্বাস্থ্যবিদেরা। এর ঠিক চার বছর পর ২০১৯ সালের একটি সমীক্ষার ফলে দেখা যাচ্ছে, পরিস্থিতি বদলায়নি। বরং পৃথিবীর ২০৪টি দেশের মধ্যে এই উপমহাদেশে বেশি শিশু ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হয়েছে। ২০১৯ সালের সমীক্ষায় আরও জানা যাচ্ছে, উপমহাদেশেই ডায়াবিটিস সংক্রান্ত কারণে শিশুর মৃত্যু হয়েছে সবচেয়ে বেশি!


কেন বাড়ছে ডায়াবিটিস?

গবেষণালব্ধ তথ্যে এ-ও বলা হচ্ছে যে, জীবনযাপনের সঙ্গে ভীষণ ভাবেই জড়িয়ে গিয়েছে ওই সমস্ত খাবার। আর এর প্রত্যকটিই আলট্রা প্রসেসড ফুড বা অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার। যাতে ভরা থাকে ‘এজিইজ়’ বা অ্যাডভান্সড গ্লাইকেশন এন্ড প্রডাক্টস। এজিইজ় থাকা খাবার সরাসরি অগ্ন্যাশয়ের ক্ষতি করে। বাড়িয়ে তোলে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও।

কারণ খুঁজতে গিয়ে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকেরা। যে সমস্ত চিকিৎসক ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাসে নানা রকম বদল এসেছে গত কয়েক বছরে। কী কী বদল? চিকিৎসকেরা বলছেন, মানুষ এখন অনেক বেশি শর্করা, স্নেহ পদার্থ, নোনতা খাবার, মিষ্টি খাবার এবং প্রাণীজ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাচ্ছেন। এর পাশাপাশি ব্যস্ত জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় শরীরচর্চাও করছেন না। এই সব কিছুই ডায়াবিটিসের হার বৃদ্ধির কারণ।

 

খাবারে ‘এজিইজ’ কম রাখবেন কী ভাবে?

দৈনন্দিন খাবারে ‘এজিইজ’-এর মাত্রা বেড়েই চলেছে। যা ডায়াবিটিসের একটা বড় কারণ। অথচ, চাইলে এজিইজ এড়ানো যায়। যে কোনও রকমের তেলে ভাজা, রোস্ট করা বা গ্রিল করা খাবার থেকে দূরে থাকুন। খাবার সিদ্ধ করার পরে ভাজলে বা রোস্ট করলে বা গ্রিল করলে এজিইজ় তৈরি হয়। প্রচুর তেল বা ঘি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। বদলে বেশি ফল খান, শাক-সব্জি খান, দানাশস্য বা ডাল খান। শুকনো ফল, রোস্ট করা আখরোট, ভাজা মাংস বা প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে চলুন

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়