SAHA ANTAR
Published:2024-02-04 19:57:19 BdST
নিজের স্বপ্নপূরণে স্বামীর সামর্থ্যের ঊর্ধ্বে জোরাজুরি করা মানসিক নির্যাতন:দিল্লি হাই কোর্ট
ডেস্ক:
নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য স্বামীর আর্থিক সামর্থ্যের ঊর্ধ্বে গিয়ে তাঁকে জোরাজুরি করা আসলে মানসিক নির্যাতন। এক দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের ।
আদালতের বক্তব্য, স্বামীর আর্থিক সামর্থ্যের কথা মাথায় না রেখে ক্রমাগত তাঁর কাছে মূল্যবান জিনিসের জন্য বায়না করে এবং তাঁকে তাঁর আর্থিক ক্ষমতার কথা মনে করিয়ে দেওয়া সংসারে অশান্তি ডেকে আনে। এতে স্বামীর মানসিক চাপ বাড়ে। কখনওই কোনও দাম্পত্যে এমন কাম্য নয়। বিচারপতি সুরেশকুমার কাইত ও বিচারপতি নীনা বনশল কৃষ্ণার নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ স্বামীর প্রতি স্ত্রীর নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগ তুলে ওই দম্পতির বিচ্ছেদে সায় দেয় আদালত।
মণিশংকর আইয়ারের মেয়ের বিরুদ্ধে দায়ের FIR]
এর আগে নিম্ন আদালত ওই দম্পতিকে বিবাহবিচ্ছেদের (Divorce) নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মহিলা। তারই শুনানিতে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে হাই কোর্ট। আদালতের মতে, প্রয়োজন এবং চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে চলা উচিত। তা না রেখে স্ত্রী যদি স্বামীর উপর চেপে বসেন তাঁকে তাঁর আর্থিক সামর্থ্যের কথা যদি বার বার মনে করিয়ে দিতে থাকেন তবে সংসার করার মতো পরিস্থিতি থাকে না। ওই মহিলা অপরিণত মানসিকতার বলেও দাবি কোর্টের। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যুবকের কাছ থেকে একাধিক ঘটনার কথা শুনে তাঁদের মনে হয়েছে, স্ত্রী আদৌ মানিয়ে নেওয়ার মতো মানসিকতার নন। তিনি সব ক্ষেত্রেই স্বামীর উপর নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়ে থাকেন।
স্বামীর প্রতি স্ত্রীর নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগ তুলে ওই দম্পতির বিচ্ছেদে সায় দেয় আদালত।
আদালতের মতে, প্রয়োজন এবং চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে চলা উচিত।
একাধিক ঘটনার কথা শুনে তাঁদের মনে হয়েছে, স্ত্রী আদৌ মানিয়ে নেওয়ার মতো মানসিকতার নন। তিনি সব ক্ষেত্রেই স্বামীর উপর নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়ে থাকেন।
আপনার মতামত দিন: